খেলাধুলা ডেস্ক
চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরার পর এই প্রথম পিএসজির শুরুর একাদশে খেলেছেন নেইমার। কিন্তু শুরুর একাদশে ফেরাটা আর রাঙানো হলো না ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের। উল্টো নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়ে শেষ করেছেন ম্যাচটা!
লিলের বিপক্ষে ম্যাচটি ১-০ গোলে হেরেছে পিএসজি। নেইমার না পেয়েছেন গোল করতে, না গোল করাতে পেরেছেন। উল্টো ম্যাচের শেষ মুহূর্তে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন। এই নিয়ে ২০২০ সালের পর থেকে এ নিয়ে তৃতীয় লাল কার্ড দেখেছেন নেইমার। এই সময়ের মধ্যে ফ্রেঞ্চ লিগে তাঁর চেয়ে বেশি লাল কার্ড দেখেননি আর কোনো খেলোয়াড়।
এটা ঠিক যে লিলের খেলোয়াড়েরা নেইমার-এমবাপ্পেদের খুব বিরক্তই করেছেন। দুজনের একজনকেও তাঁদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে দেননি। ফাউল করেছেন বারবার। এর জবাবে ফাউল করেছেন নেইমাররাও। হলুদ কার্ড দেখেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পেও। কিন্তু নেইমারকে মাঠে বচসায় জড়িয়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখায় লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
মাঠে মেজাজ হারিয়ে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে দু-এক কথা শোনাতেই পারেন। কিন্তু লাল কার্ড দেখার পর মাথাটা যেন আরও খারাপ হয়ে গিয়েছিল নেইমারের। তাই গন্ডগোল করলেন মাঠ ছেড়ে ড্রেসিংরুমে যাওয়ার সময় টানেলেও।
নেইমারকে লাল কার্ড দেখানোর সময় রেফারি লাল কার্ড দিয়েছেন তাঁকে ফাউল করা লিলের ডিফেন্ডার তিয়াগো জালোকেও। দুজন একই সঙ্গে মাঠ ছেড়ে টানেলের উদ্দেশে রওনা দেন। সঙ্গে ছিল দুই দলের কয়েকজন কর্মকর্তাও। নেইমার টানেলের মুখ পর্যন্ত গিয়েই জালোকে উদ্দেশ করে কী সব বলতে থাকেন। জালোও কম যাবেন কেন! নেইমারকে উদ্দেশ করে তিনিও বলতে থাকেন নানা কথা। দুজনকে শান্ত করার চেষ্টা করেন কর্মকর্তারা।
কিন্তু কোথায় কী, ঝগড়া তাঁদের থামছিলই না। এভাবে ঝগড়া করতে করতে টানেলে ঢোকেন দুজন। একপর্যায়ে জালো কী একটা বলায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন নেইমার। জালোকে মারার জন্য এগিয়ে যান তিনি। জালোও তেড়েফুঁড়ে এগিয়ে আসার চেষ্টা করেন। নেইমারকে আটকাতে চেষ্টা করা এক কর্মকর্তাকে ধাক্কা দেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। এরপর দৌড়ে জালোর দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় ধাক্কাধাক্কির মধ্যে এক কর্মকর্তা টানেলে পড়ে যান।
ভাগ্য ভালো, শেষ পর্যন্ত নেইমার-জালো মুখোমুখি হতে পারেননি। দুই দলের কর্মকর্তারা দুজনকে যাঁর যাঁর ড্রেসিংরুমে নিয়ে যেতে পেরেছেন।
Discussion about this post