খেলাধুলা ডেস্ক
দেড় বছর পার করে দেওয়ার পরও রাসেল ডমিঙ্গো যেন পথ দেখাতে না পারা নাবিক। দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর শুরুই হয়েছিল দেশের মাটিতে আফগানিস্তানের কাছে ২২৪ রানের লজ্জাকর হার দিয়ে। অবশ্য একই রকম বিব্রতকর শুরু ছিল চন্দিকা হাতুরাসিংহের জায়গায় কোচ হয়ে আসা স্টিভ রোডসেরও। ২০১৮-র জুলাইতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যান্টিগা টেস্টে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৩ রানে গুটিয়ে যাওয়া দল অবশ্য ওই ইংলিশ কোচের অধীনে পরে ছন্দেও ফিরেছিল। এই দক্ষিণ আফ্রিকানের কোচিংয়ে উন্নতির সুস্পষ্ট কোনো চিহ্নও ফুটে উঠছে না বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে। দেশে এবং দেশের বাইরে লাগাতার ব্যর্থতায় ডমিঙ্গোকে নিয়ে প্রশ্ন উঠে যেতে বাধ্যও। তবে নীতিনির্ধারকদের ধৈর্যের বাঁধ এখনো না ভাঙলেও ভাঙতে কতক্ষণ! শিগগিরই সেরকম কিছুর সম্ভাবনার ইঙ্গিত আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক পরিচালকের কথায়ও, ‘এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে…।’
ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির প্রধান আকরাম খান বলেন, ‘অবশ্যই আমরা সন্তুষ্ট নই (ডমিঙ্গোর পারফরম্যান্সে)। তাই বলে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলার ভাবনা বোর্ডের নেই। সামনে আমাদের দুটি সিরিজ আছে। সেই দুটি শেষ হলেই আমরা পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করতে বসব, এর আগে নয়।’
সামনের দুটি সিরিজই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেখানে দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে ১২ এপ্রিল যাওয়ার কথা আছে মমিনুল হকদের। এরপর মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ফিরতি সফরে লঙ্কানরা বাংলাদেশে আসবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে। বলা যেতে পারে, আসন্ন দুই সিরিজের পারফরম্যান্সের ওপরই ঝুলছে ডমিঙ্গোর ভাগ্য। কঠিন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা অবশ্য মুখে উচ্চারণও করছেন না আকরাম। বারবারই ‘মূল্যায়ন’ শব্দের আড়াল খুঁজে নেওয়া বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক জানালেন, ‘শুধু ডমিঙ্গো নন, কোচিং স্টাফের অন্য সদস্যদেরও পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে। বাদ যাবে না ক্রিকেটাররাও।’ ২০২১ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তির ক্রিকেটারদের নামও বাছা হবে লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষেই, ‘আমরা কিন্তু নতুন বছরের চুক্তি এখনো ঘোষণা করিনি। সে বিষয়েও আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে চাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি সিরিজের পারফরম্যান্স দেখে।’
Discussion about this post