খেলাধুলা ডেস্ক
মঙ্গলবার রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-১ গোলে হারিয়েছে পেপ গার্দিওলার দল। শেষ চারে ওঠার পথে এগিয়ে রইল ইংলিশ দলটি।
পেপ গার্দিওলার দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এলেই যেন পথ হারিয়ে ফেলছে। ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসরে শেষ আট তো গেরোই হয়ে আছে পেপ গার্দিওলার সিটির জন্য! তার অধীনে শেষ চার মৌসুমে যে একটি বারের জন্যও কোয়ার্টার ফাইনালের বৈতরণী পেরোতে পারেনি দলটি!
সে বাঁধা এবার পেরোতে বদ্ধপরিকর দলটি। তার ছাপ ছিল মাঠের খেলাতেও, শুরু থেকে স্বভাবতই বলের দখলে এগিয়ে ছিল সিটি। প্রথম সুযোগটা অবশ্য আসে ডর্টমুন্ডের সামনেই। শট প্রথমে হজম করলেও প্রথম সাফল্যটা পেয়েছিল সিটিই। ১৯ মিনিটে আক্রমণের শুরুটা হয় কেভিন ডি ব্রুইনার সুবাদে। একটু এগিয়ে এসে বক্সে বল বাড়ান ফোডেনকে, সেখান থেকে বল যায় রিয়াদ মাহরেজের কাছে। তার কাটব্যাক থেকে গোলটা করেন সেই ডি ব্রুইনা। ৩০ মিনিটে একটা পেনাল্টি পেতে পেতেও পায়নি সিটি, এমরে কানের চ্যালেঞ্জে রদ্রি পড়ে যান বক্সে, প্রথমে পেনাল্টি দিলেও ভিএআর দেখে সিদ্ধান্ত বদলান রেফারি।
এরপর একটা সিদ্ধান্ত এসেছে সিটির পক্ষেও। জুড বেলিংহামের চেষ্টা জালে জড়ালেও ভিএআরে বাতিল হয় তা, গোলের আগে সিটি গোলরক্ষককে ফাউলের অপরাধে।
বিরতির পর যেন ক্রমেই ফিকে হচ্ছিল ডর্টমুন্ড। তবে ৮৪ মিনিটে এক ঝলকে প্রাণ ফেরে দলটিতে। আর্লিং হালান্ডের পাস থেকে ডর্টমুন্ডকে সমতায় ফেরান মার্কো রয়েস। সিটি কোচ পেপ গার্দিওলার কপালে তখন চিন্তার ভাঁজ!
এরপর সিটি সমতায় ফিরতে সময় নিয়েছে পাঁচ মিনিট। এ গোলেও আছে অধিনায়ক ডি ব্রুইনার ছোঁয়া। তার ক্রস বক্সে খুঁজে পায় ইলকায় গুন্দোয়ানকে, তার পাস যায় ফিল ফোডেনের কাছে। সহজ এক গোলে সিটিকে লড়াইয়ে আবারও এগিয়ে দেন ইংলিশ মিডফিল্ডার। ম্যাচটা সিটি শেষ করে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে।
তবে জয় পেলেও কাজটা যে শেষ হয়ে যায়নি তা দলটা জানে ভালোভাবেই। মাত্র এক গোলের ব্যবধান, তার ওপর হজম করে আছে মহামূল্য অ্যাওয়ে গোলও। ১৪ এপ্রিল ডর্টমুন্ডের সিগনাল ইদুনা পার্কের ফিরতি লেগটা কঠিনই হওয়ার কথা সিটির জন্য।
Discussion about this post