খেলাধূলা ডেস্ক
বছর ঘুরে আবার এলো মাহে রমজান। মুসলিমদের মহিমান্বিত মাস। সিয়াম সাধনার এ মাসটি এবার ভিন্ন এক আবহে এসেছে আমাদের সামনে। গোটা বিশ্ব সংকটে। করোনাভাইরাস নামের এক অতিমারি পাল্টে দিয়েছে সবকিছু। গত বছরের চেয়ে এবার আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ফিরে এসেছে কোভিড- ১৯। আক্রান্ত আর মৃত্যের সংখ্যা ছাড়িয়ে যাচ্ছে অতীতের সব রেকর্ড। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের দেওয়া কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। এরমধ্য দিয়েই আজ বুধবার থেকে দেশে শুরু হয়েছে রোজা।
রোজার প্রথম দিনটিতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল রয়েছে শ্রীলঙ্কায়। কলম্বোর পাশেই নিগোম্বো নামের এক শহরে চলছে তাদের কোয়ারেন্টাইন। কলম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সাড়ে ১২ কিলোমিটার দূরের এই শহরে হোটেল বন্দি টেস্ট দল।
ঠিক সাগরের পাশে নিগোম্বোর জেট ইয়াং বিচ হোটেলে আপাতত সময় কাটছে ক্রিকেটারদের। দুই টেস্ট ম্যাচের সিরিজের আগে এখানে ৩ দিনের কোয়ারেন্টাইন। হোটেল বন্দি এই সময়টাতে দেশবাসীকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানাতে ভুল করলেন না জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে আসা রমজানে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছেন তারকা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। করোনার কষ্ট যাতে কমে চায় সেটা প্রত্যাশা তার। ধর্মপ্রাণ এই ক্রিকেটার তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লিখলেন, ‘পবিত্র এই রমজান মাসে মহান আল্লাহ যেনো সবার কষ্ট কমিয়ে দেন, রহমত নাজিল করেন এবং জীবনকে সমৃদ্ধ করেন। সবাইকে রমজান মোবারক।’
শুভেচ্ছা জানালেন, ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালও। তিনি করোনার এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধির কথাও মনে করিয়ে দিলেন। তামিম লিখেছেন, ‘সকলকে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা। সবাই সুস্থ্য ও নিরাপদে থাকুন।’
কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএলে ব্যস্ত থাকা সাকিব আল হাসানওও জানালেন রমজানের শুভেচ্ছা। তার কথাতেও থাকল করোনার এই সময়ে সৃষ্টি কর্তার কাছে প্রার্থনা। সাকিব লিখেছেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের প্রয়োজন ধৈর্য্য ও সহানুভূতি। একমাত্র আল্লাহ তায়ালা আমাদের এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার শক্তি দিতে পারেন। আসুন পবিত্র রমজান মাসে আমরা সবাই মিলে আমাদের দেশ ও জনগনের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করি। সবাইকে রমজানুল মোবারক।’
এছাড়া রমজানের শুভেচ্ছা জানালেন, রুবেল হোসেন-তাসকিন আহমেদও। পেসার রুবেল তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লিখলেন, আলহামদুলিল্লাহ, রমজানের চাঁদ দেখা গিয়েছে…, সবাইকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।
Discussion about this post