খেলাধূলা ডেস্ক
বাবর আজম শেষ কিছুদিনে যেমন প্রশংসা পেয়েছেন, পেয়েছেন সমালোচনাও। আকিব জাভেদ তাকে বলেছিলেন কোহলির চেয়েও ভালো, এরপর আবার ধীরগতির ইনিংস খেলে শোয়েব আখতারের সমালোচনা পোহাতে হয় তাকে। তবে এবার সেই বাবরই করলেন পাকিস্তানের দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ড। যাতে ভর করে তার দলও দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিয়েছে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।
লক্ষ্যটা ছিল ২০৪ রানের। বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ান মিলে শুরু থেকে যে তাণ্ডব বইয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা বোলারদের ওপর তাতে সে লক্ষ্যটা তারা তাড়া করে ফেলে ২ ওভার বাকি থাকতেই।
এদিন পাকিস্তান অধিনায়ক সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ৪৯ বলে, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সমানসংখ্যক বলে ছুঁয়েছিলেন ৫০ রানের মাইলফলক, যা আবার পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় মন্থরতম। সেই বাবরই এবার গড়লেন দলের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। ভেঙেছেন আহমেদ শেহজাদের ৫৮ বলে সেঞ্চুরির কীর্তিটি।
আরও এক জায়গায় শেহজাদকে ফেলেছেন পেছনে। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ১২২৷ পাকিস্তানের হয়ে এর চেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি ইনিংস নেই আর কারো৷ আগের রেকর্ডটাও ছিল শেহজাদের, ১১১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি৷ এমন সব কীর্তি বাবর আজম এমন এক দিনেই গড়েছেন, যেদিন ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ স্থানটা দখল করেছেন কোহলিকে টপকে৷
তবে এখানেই শেষ নয় তার৷ ৫৯ বলে ১২২ রানের ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্রুততম সেঞ্চুরি ও সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটিও এখন তার দখলে৷ ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গেইলের ১১৭ রানের ইনিংসটিই এতদিন ছিল দলটির বিপক্ষে সর্বোচ্চ, সেদিন গেইল সেঞ্চুরি করেছিলেন ৫০ বলে, এটাও প্রোটিয়াদের বিপক্ষে রেকর্ড৷
রিজওয়ান ৪৭ বলে ৭৩ করে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন বাবরকে। তাই তো দুজনের উদ্বোধনী জুটি দেখেছে ১৯৭ রান। গড়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের ওপেনিং জুটি। হাতছানি ছিল প্রথম দল হিসেবে ২০০ রানের বেশি লক্ষ্য ১০ উইকেটে তাড়া করারও। তবে যা হয়েছে তাও কম কীসে? ওয়ানডের পর যে এখন টি-টোয়েন্টি সিরিজও জয়ের পথে এগিয়ে গেছে।
Discussion about this post