খেলাধূলা ডেস্ক
জনকল্যাণমূলক কাজ আর লিওনেল মেসির বন্ধনটা নতুন কিছু নয় আদৌ। এই তো, গেল বছরও করোনা মহামারিকালে জনকল্যাণে এগিয়ে এসেছিলেন তিনি। আবারও এসেছেন। তবে এবারের মাহাত্ম্য যেন একটু বেশিই। যে জুতো পরে ভেঙেছিলেন কিংবদন্তি পেলের এক ক্লাবে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড, সে জুতোই তিনি এবার তুলছেন নিলামে। এ থেকে পাওয়া অর্থ যাবে হাসপাতালের তহবিলে যা অসুস্থ শিশুদের জীবন বাঁচাতে বিশেষভাবে কাজ করে থাকে।
এ নিলামে পরিচালনার দায়িত্ব পড়েছে স্থানীয় জাদুঘর ন্যাশনাল আর্ট মিউজিয়ামের ওপর। এ থেকে পাওয়া অর্থ যাবে বার্সেলোনার স্থানীয় এক হাসপাতাল ইউনিভার্সিতারো ভল দেবরনের প্রকল্পে। এ কাজে সম্পৃক্ত হয়ে মেসি কাতালান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এক ক্লাবের হয়ে ৬৪৪ গোলের রেকর্ড গড়াটা আনন্দের। কিন্তু যেসব শিশু জীবনের জন্য লড়ছে, তাদের জন্য কিছু করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি এ নিলাম তাতে সহায়তা করবে, আর আমার কাছে বেশি গুরুত্ব এটারই।’
রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে রেকর্ড গড়া ম্যাচটিতে মেসির গোলটি এসেছিল বার্সার তিন গোলে সবার শেষে। সেদিন তিনি অ্যাডিডাসের নেমেজিজ মেসি ১৯ মডেলের জুতো পরে নেমেছিলেন। সে বুটজোড়া এমনিতেই বিশেষ কিছু, তার ওপরে তিনি দুটো জুতোতেই করে দিয়েছেন সই। ধারণা করা হচ্ছে, এ বুটের নিলাম থেকে উঠে আসতে পারে ৫৭ হাজার ইউরো।
মেসির একটা সইয়ের অ্যান্টিক ভ্যালু বেশ। করোনার বিরুদ্ধেও বিশ্বের লড়াইয়ে মেসি ব্যবহার করছেন সেটাকেই। আরও এক জায়গায় তিনি তা ব্যবহার করেছেন। চীনের সিনোভ্যাকের কাছে।
নিজের সই করা তিনটি টি-শার্ট আর্জেন্টাইন ফেডারেশন মারফত পাঠিয়েছেন চীনের ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাককে। তা গ্রহণ করে চীনা সংস্থাটি আর্জেন্টিনাকে দেবে পঞ্চাশ হাজার টিকা। এর আগ পর্যন্ত ব্যাপারটা গোপনই রেখেছিলেন মেসি, যেমনটা সবসময় করে আসেন। এবার সেটা ফাঁস করার কাজটা করেছে কনমেবল উন্নয়ন ব্যবস্থাপক গনজালো বেলোসোর একটা টুইট। সেখানে তিনি লেখেন, ‘কনমেবলের জন্য ৫০০০০ টিকা পাওয়ার খবরে জানাতে চাই, সিনোভ্যাকের কর্মকর্তারা মেসিকে বিশেষ করে ধন্যবাদ জানিয়েছে। তিনটি সাক্ষর যুক্ত টি শার্ট পাঠিয়ে তিনি এ কাজের অংশ হয়েছেন।’
Discussion about this post