খেলাধূলা ডেস্ক
আগের ম্যাচে দারুণ খেলতে থেকে হঠাৎ ছন্দপতন হয়েছিল রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে। সেটা আজও হলে বড় বিপদেই পড়ত বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুশফিক হাঁটেননি সে পথে। পরিস্থিতির চাহিদা মিটিয়ে ব্যাট করেছেন লম্বা সময়। সবশেষ দুশমন্থ চামিরার লেগ স্ট্যাম্পের বাইরের বলটা ফাইন লেগ দিয়ে সীমানাছাড়া করে তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরিটা। মুশফিক তার সেঞ্চুরির ইনিংসটি মাত্র ৬ চারে সাজিয়েছেন। বল খেলেছেন ১১৪টি।
ইয়াসের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও। প্রথমে ২৬ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর ৪টা ৪২ মিনিটে আবার বৃষ্টি শুরু হয়। দ্বিতীয় দফায় খেলা বন্ধ থাকার পর আবার খেলা শুরু হয় মিরপুরে।
খেলার শুরুর পরেই ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ৪৫ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ২২৮ রান।মুশফিক ব্যাট করছেন ১০৮ রানে, সাইফউদ্দিন ১০ রানে।
সিরিজ জয়ের আশায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে লঙ্কানদের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু সূচনাটা ভালো ছিল না। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ৭৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল স্বাগতিকরা। সেখান থেকে দলকে আবারও টেনে তোলার ভূমিকায় ছিলেন গত ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তারা জুটিবদ্ধ হওয়াতেই সমৃদ্ধ হচ্ছিল স্কোরবোর্ড। কিন্তু পোক্ত হওয়া জুটিটি ভেঙে দিয়েছে লঙ্কানরা। এই জুটি ভাঙার পর দ্রুত আরও দুজন সাজঘরে ফেরায় চাপে রয়েছে বাংলাদেশ।
মিরপুর স্টেডিয়ামে শুরুর ওভারটা দেখে স্বস্তি মিলেছিল। কয়েকটি বাউন্ডারি ও নো বলের সুবাদে ১৫ রান তুলে ফেলেছিলেন তামিম। উদানার চতুর্থ বলে পয়েন্টে ক্যাচও দিয়েছিলেন! ভাগ্য ভালো সেটি নিতে পারেননি লঙ্কান ফিল্ডার।
তবে পরের ওভারে প্রথম বলেই তাকে লিগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে দেন চামিরা। আম্পায়ার শুরুতে আউট দেননি যদিও। কিন্তু শ্রীলঙ্কা রিভিউ নিলে তাতে বিদায় ঘণ্টা বাজে গত ম্যাচে ভালো শুরু এনে দেওয়া তামিমের (১৩)। চতুর্থ বলে সাকিবও লেগ বিফোরে সাজঘরে ফিরলে চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। সাকিব ফিরেছেন শূন্য রানে।
এর পর প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। গত ম্যাচে শূন্যতে ফেরা লিটন এই ম্যাচে কিছুটা রান যোগানের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি বাজে শটে আউট হওয়ায়। সান্দাকানের বলে এই ওপেনার হাসারাঙ্গাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ২৫ রানে।
এর পর মাঠে নেমেছিলেন মোসাদ্দেক। প্রায় দুই বছর পর ওয়ানডে দলে খেলতে নেমেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পর সুযোগ পেয়েও তার সদ্ব্যবহার করতে পারলেন না। ১০ রানে সান্দাকানের ঘূর্ণিতে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যান।
টপের বাকিরা ব্যর্থ হলেও এক প্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন মুশফিক। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৮৭ রান তুলে ফেলা জুটিটিই ভেঙে যায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিদায়ে। প্যাডেল সুইপ করতে গিয়ে তিনি উইকেটকিপারের গ্লাভসবন্দি হন। মাহমুদউল্লাহ ফেরেন ৪১ রানে! এর পরেই যেন ছন্ত পতন ঘটে ইনিংসে। পর পর দুই ওভারে ফিরেছেন আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। আফিফকে নিসাঙ্কার ক্যাচ বানিয়েছেন উদানা। আর মিরাজকে ঘূর্ণি বলে বোল্ড করেছেন হাসারাঙ্গা। এর পরেও মুশফিক ছিলেন অবিচল। সাইফউদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে সমৃদ্ধ করতে থাকেন স্কোরবোর্ড।
Discussion about this post