নিজস্ব প্রতিবেদক
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের আসন্ন মৌসুমে দল পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। তিন বছর পর পুনরায় তাকে দলে নিয়েছে জ্যামাইকা তালাওয়াজ। দলটির হয়ে ২০১৬ ও ২০১৭ সালের আসরে খেলেছেন সাকিব এবং জিতেছেন একটি শিরোপা।
২০২১ সালে জ্যামাইকার জার্সিতে নামা হবে না সাকিবের। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচির কারণে সিপিএলের জন্য সাকিবকে অনাপত্তিপত্র নাও দেয়া হতে পারে- এমনই আভাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান।
এসব গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই খেলতে চান বলে জানিয়েছেন আকরাম। জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে তিনি বলেন, ‘আমরা (সিপিএলের এনওসি) এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। সময় এলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা অবশ্যই আমাদের পুরো শক্তির দল নিয়ে তাদের (অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড) বিপক্ষে খেলতে চাই।’
অবশ্য আকরাম খানের চাওয়াই যে পূরণ হবে, এরও নিশ্চয়তা নেই। কেননা বিসিবি তাদের নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নতুন কিছু শর্ত যুক্ত করবে। যার মধ্যে অন্যতম হলো, চুক্তি স্বাক্ষর করার আগেই জাতীয় দলের হয়ে কখন খেলতে পারবে তা জানিয়ে রাখা। অর্থাৎ কোনো খেলোয়াড় বিদেশি লিগ খেলতে চাইলে, তা আগেই জানিয়ে রাখবে এবং সেক্ষেত্রে আটকাবে না বিসিবি।
এ সিদ্ধান্তের পেছনেও রয়েছে সাকিবের প্রভাব। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেটে অংশ নিতে শ্রীলঙ্কা সফর থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছিলেন সাকিব। তখন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নতুন শর্তের কথা। যাতে শেষ মুহূর্তে গিয়ে খেলোয়াড় পাওয়া নিয়ে চিন্তায় পড়তে না হয়।
Discussion about this post