খেলাধূলা ডেস্ক
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার হলো দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সর্বোচ্চ পুরস্কার । দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অবদান রাখার জন্য এই পুরস্কার প্রদান করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
২০১৬ সালে সর্বশেষ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হয়েছে। ‘১৬ সালে অনুষ্ঠান হলেও পুরস্কার দেয়া হয়েছিল ২০১২ সাল পর্যন্ত। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদানে অনেকটা জট লেগেছে। সেই জট অতি শীঘ্রই খুলতে চান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, ‘আমরা জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার নিয়মিত করতে চাই।
চলতি বছর বিগত বছরগুলোর পুরস্কার দেয়া হবে । এরপর প্রতিবছর নিয়মিতভাবে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করব।’ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার রাষ্ট্রপ্রদত্ত অন্যতম পুরস্কার। স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক সহ অনেক পুরস্কার নিয়মিত হলেও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার অনিয়মিত।
২০১২ সালের পর থেকে কয়েক বছরের পুরস্কার ইতোমধ্যে চুড়ান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সময় দিলেই সেই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ‘আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জুন মাস ও জুলাইয়ের ১৫ তারিখের মধ্যে একদিন সময় চেয়েছি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদানের জন্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই সময়ের মধ্যে যেদিন সময় দেবেন আমরা সেই দিন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদানের আয়োজন করব।’ বলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী রাসেল।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাথে এ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে গিয়ে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন। আমরা আশা করছি জুলাইয়ের মাঝামাঝির আগেই জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করতে পারব।’
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদানের পরপরই ৫ আগস্ট শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে নীতিমালা প্রায় চুড়ান্ত ও সংশ্লিষ্ট কমিটি গঠন হয়েছে। নীতমালা চুড়ান্তভাবে অনুমোদিত হলে পুরস্কারের জন্য আবেদন আহ্বান জানাবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
Discussion about this post