খেলাধূলা ডেস্ক
করোনা বিপত্তি না হলে হয়তো মোহামেডানের হয়ে খেলতেন না অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ২০২০ সালের মার্চে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল) ২০১৯-২০ মৌসুমের খেলা শুরু হলেও করোনার কারণে সেটি স্থগিত হয়ে যায়। সে সময় নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলা হয়নি সাকিবের। নাম লিখিয়েছেন সাদা-কালো শিবিরে। আজ (সোমবার) সাকিবের নেতৃত্বে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের মুখোমুখি হয়েছিল মোহামেডান। যেখানে টাইগার অলরাউন্ডারের নৈপুণ্যে ৩ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে তারা।
ম্যাচের শুরুতেই টস ভাগ্য কথা বলে সাকিবের হয়ে। জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এদিন ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২ উইকেট নেন টাইগার অলরাউন্ডার। ২৯ রান খরচ করেন তিনি। পরে ব্যাট হাতেও রান পেয়েছেন সাকিব। শ্রীলঙ্কা সিরিজে রান খরায় ভোগা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আজ ২২ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলেন।
পরে রবিউল ইসলাম বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখালে তাকে ফেরান সাকিব। মৃত্যুঞ্জয়কে তো রানের খাতাই খুলতে দেননি টাইগার অলরাউন্ডার। শেষ দিকে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ২০ ও সুমন খানের অপরাজিত ২৩ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে স্কোর্ড বোর্ডে ১২৫ রানের সংগ্রহ পায় শাইনপুকুর। মোহামেডানের হয়ে সাকিব ২, ইয়াসিন আরাফাত ২, আসিফ হাসান ও আবু জায়েদ রাহি ১টি করে উইকেট পান।
১২৬ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে বিপাকে পড়েছিল সাদা-কালোরা। ১ রান করে অভিষেক মিত্রা আউট হলে দলের হাল ধরেন পারভেজ হোসেন ইমন ও শামসুর রহমান। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের ৫৫ রানের পার্টনারশিপের মাথায় ইমন আউট হন ৩৯ রান করে। এরপর উইকেটে আসেন সাকিব। শামসুরের সঙ্গে ২৯ ও নাদিফ চৌধুরীর সঙ্গে ২৮ রানের জুটি গড়েন তিনি। শামসুর ২৪ রান করে আউট হওয়ার পর সাকিব সাজঘরে ফেরেন ২৯ রান করে। তাকে আউট করেন তানভীর ইসলাম।
সাকিবের আউটের পর বিপাকে পড়ে মোহামেডান। ইরফান শুক্কুর ও শুভাগত হোম আউট হন হন সমান ১ রান করে। ৭ উইকেট হারানো মোহামেডানের শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ৬ রান। দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান আবু হায়দার রনি। মৃত্যুঞ্জয়ের করা শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ বের করেন তিনি। ফলে ৩ উইকেটে জয় তুলে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান।
Discussion about this post