খেলাধূলা ডেস্ক
মাঠে ফিরলো দর্শক, খেলাটাও যেন ফিরে পেলো প্রাণ। সংক্ষিপ্ত কিন্তু বর্ণিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দিয়ে তাক লাগালো আয়োজকরা। আন্দ্রেয়া বোসেল্লির ঐহিত্যবাহী নেসান দরমা দিয়ে শুরু। এরপর ভার্চুয়াল কনসার্টে ইউরোর অফিশিয়াল সং উপস্থাপন করেন মার্টিন গ্যারিক্স, বোনো ও এজ। অংশগ্রহণকারী দলগুলোর পতাকা সম্বলিত রঙিন বেলুনে ছেয়ে যায় পুরো মাঠ। শেষদিকে চোখ ধাঁধানো আতশবাজিতে আসরে উদ্বোধন করেন দুই ইতালিয়ান কিংবদন্তি আলেসান্দ্রো নেস্তা ও ফ্রান্সেসকো টট্টি।
৫ বছর পর আবারো বড় মঞ্চে ইতালি। শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে আজ্জুরিরা। কিন্তু তুরস্কের অতি রক্ষণাত্মক কৌশলের জন্য সুবিধা করতে পারেনি রবার্তো মানচিনির দল।
১৮ মিনিটে প্রথম সুযোগ আসে ইতালির সামনে। কিন্তু ইনসিনিয়ে সেটা কাজে লাগাতে পারেন নি। এরপর ২২ মিনিটে আবারো ইতালির আক্রমণ। তবে এবার কিয়েলিন্নির হেড পোস্ট ছুঁয়ে চলে যায়।
প্রথমার্ধ শেষ হয় গোল শূন্য অবস্থায়। খেলার প্রথম ৪৫ মিনিটে বলার মতো কোনো আক্রমণই করতে পারেনি তুরস্ক। আর ইতালি ৬৮ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখে ১৪ শট নেয় প্রতিপক্ষের পোস্টে।
ইতালির অপেক্ষার অবসান হয় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই। ভাঙে তুরস্কের প্রতিরোধ। বেরার্দির বাড়ানো বল ডিফেন্ড করতে গিয়ে নিজের জালেই পাঠান টার্কিশ ডিফেন্ডার ডেমিরাল।
ব্যবধান বাড়ানোর অপেক্ষা দীর্ঘ হয়নি স্বাগতিকদের। ৬৬ মিনিটে স্পিনাৎসোলার শট প্রথম দফায় তুরস্ক গোলরক্ষক রুখে দিলেও, সিরো ইম্মোবিল তা পাঠিয়ে দেন জালে।
পুরো ম্যাচে দারুণ খেলা লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে গোলের আক্ষেপ মেটান খেলার শেষ দিকে। প্রথমার্ধ ব্যর্থ হলেও এবার আর ভুল হয়নি এই স্ট্রাইকারের। ব্যবধান হয় ৩-০। এতেই টানা ৯ ম্যাচ নিজেদের রক্ষণ অটুট রেখে জয় নিশ্চিত হয় ইতালির। আর বাছাইপর্বে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারানো তুরস্কের যাত্রা শুরু হয় হার দিয়ে।
Discussion about this post