খেলাধূলা ডেস্ক
সদ্য সমাপ্ত হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে খেলতে গিয়ে পুরোনো হাঁটুর চোট নতুন করে ফিরে এসেছে তামিম ইকবালের। সেই ইনজুরি নিয়েই অবশ্য জিম্বাবুয়ে সফরে গেছেন তিনি। তবে এখনও সেরে ওঠেননি এই বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
জানা গেছে, তামিমের পুরোপুরি সুস্থ হতে ৮ সপ্তাহ বিশ্রামের প্রয়োজন । এতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সীমিত ওভারের দুই ফরম্যাট খেললেও তার আগে একমাত্র টেস্টে তার মাঠে নামা এখনো অনিশ্চিত। এদিকে প্রস্তুতি ম্যাচে না খেললেও চোট কাটিয়ে টেস্টে মাঠে নামবেন মুশফিকুর রহিম।
আগামী বুধবার (৭ জুলাই) শুরু হবে দুই দলের একমাত্র পাঁচদিনের ম্যাচ। তার আগে জিম্বাবুয়ে গিয়ে দুদিন অনুশীলন করে সফরকারীরা। পরে দুই দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ দল। সেখানে নীরব উপস্থিতি ছিল তামিমের, প্যাড ছাড়া হালকা অনুশীলন করার পর প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামেননি তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামলেও খুব বেশি সাবলীল দেখা যায়নি তামিমকে।
জিম্বাবুয়েতে দলের সঙ্গে থাকা চিকিৎসক মনজুর হোসাইন চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, ‘তামিম ইকবালকে টেস্টে পাওয়া যাবে কীনা সেটি এখনই বলা মুশফিল। তার চোট এখনো পুরোপুরি ভালো হয়নি। আজ স্কিল ও ফিটনেস অনুশীলন আছে। সেখানে দলের ফিজিও তাকে দেখবেন, এর পরেই আসলে সিদ্ধান্ত হবে খেলবেন কিনা।’
তিনি আরো বলেন ‘তামিম ইকবালের চোটের যে ধরণ তাতে তার বিশ্রাম ও রিহ্যাব মিলিয়ে প্রায় ৮ সপ্তাহের প্রয়োজন। এর পরেও পুরো বিষয়টি তার নিজের উপর নির্ভর করছে। তিনি যদি খেলতে চান তবে খেলতে পারেন।’
দলীয় সূত্রের খবর, ৮ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে না হলেও অন্তত টেস্ট ম্যাচে পাওয়া যাবে না তামিমকে। তবে সীমিত ওভারের দুই ফরম্যাটে খেলতে পারেন তিনি। তামিমের খেলা অনিশ্চিত হলেও মুশফিকের খেলা অনেকটাই নিশ্চিত। বাম হাতের ইনডেক্স ফিঙ্গারে সূক্ষ্ম চিড় নিয়ে জিম্বাবুয়ে গেছেন মুশফিক। বোর্ডের মেডিক্যাল বিভাগ জানিয়েছেন, পুরোপুরি সেরে উঠেছেন তিনি।
Discussion about this post