খেলাধূলা ডেস্ক
অনেকটা ঋণ পরিশোধই যেন করলেন গ্যারেথ সাউথগেট। ১৯৯৬ ইউরোতে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ছিল জার্মানি। টাইব্রেকারে সাউথগেটের পেনাল্টি মিসে স্বপ্নভঙ্গ ইংলিশদের। জাতীয় ভিলেন বনে গিয়েছিলেন ফুটবলার সাউথগেট। ১৯৬৬ সালে, বিশ্বকাপের ফাইনাল। তারপর কতোজন এলো-গেল, টেমস নদীতে কতো জল গড়ালো! ইংলিশদের আর কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠা হলো না!
ওই সাউথগেট এবার ইংল্যান্ডের জাতীয় হিরো। ফুটবলার হিসেবে নয়, কোচ হিসেবে। তার কোচিংয়ে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ইংলিশরা। ডেনমার্ককে হারিয়ে। সাউথগেট এখন নিজেকে পরম সুখী ভাবতেই পারেন।
টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ সমতা থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে হ্যারি কেইনের পেনাল্টি গোলে জয় নিশ্চিত হয় স্বাগতিকদের। ১২ জুলাই ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ইতালি।
সেই ১৯৬৬ সালে শেষবার কোনো বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিল ফুটবলের জনক বলে দাবি করা ইংলিশরা। সেবার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল।
কিন্তু এরপর আর ভাগ্যের শিকে ছিঁড়েনি। চার-চারবার সেমিফাইনাল থেকেই (দুইবার বিশ্বকাপে, দুইবার ইউরোতে) ছিটকে পড়তে হয়েছে। কত অপেক্ষা, কত স্বপ্ন। অবশেষে ধরা দিল ফাইনাল।
শুরুটা হয়েছিলো ড্যানিশদের হাত ধরেই। ৩০ মিনিটে দুর্দান্ত এক ফ্রি কিকে দলকে লিড এনে দেন ডামসগার্ড। এবারের ইউরোর প্রথম ফ্রি কিক গোলটা এলো এই ২১ বছর বয়সীর পা থেকে।
Discussion about this post