খেলাধূলা ডেস্ক
চলতি জিম্বাবুয়ে সফরে হুট করেই তাকে অন্তর্ভুক্ত করা টেস্ট স্কোয়াডে। আর সেই সুযোগের পূর্ণ ব্যবহার করলেন মাহমুদউল্লাহ। ক্যারিয়ারের পঞ্চাশতম টেস্টে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে মাইলফলক রাঙালেন এ অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তার ব্যাটে চড়ে বাংলাদেশ ছুটছে দুর্বার গতিতে।
গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সফরে নিজের ৪৯তম টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু পঞ্চাশতম ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করতে হলো দীর্ঘ ১৬ মাস। কেননা রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পর ১৬ মাসের জন্য বাদ পড়ে যান দল থেকে।
আগেরদিন ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। আজ দিনের ১৭ ও ইনিংসের ১০০তম ওভারে পরপর জোড়া বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন তিনি। টেস্ট ক্যারিয়ারে মাহমুদউল্লাহর এটি পঞ্চম সেঞ্চুরি। দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করা ইনিংসে সেঞ্চুরি করতে খেলেছেন ১৯৫ বল। যেখানে ছিল ১১ চার ও ১ ছয়ের মার।
দীর্ঘ ১৬ মাস পর টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন ৮ নম্বরে। ততক্ষণে মাত্র ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে কঠিন চাপে বাংলাদেশ দল। সেখান থেকে প্রথমে লিটন দাসকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে গড়েছেন ১৩৮ রানের জুটি।
দলীয় ২৭০ রানের মাথায় মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি থেকে দূরে থেকে আউট হন লিটন। পরের বলেই সাজঘরে ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ফলে আবার বাড়ে চাপ। মনে হচ্ছিল তিনশর আগেই হয়তো অলআউট হয়ে যাবে বাংলাদেশ দল।
কিন্তু তাসকিন আহমেদকে নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের দুর্দান্ত প্রদর্শনী করলেন মাহমুদউল্লাহ। সাদা পোশাকের ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয় হলো ধৈর্য্য, সেই ধৈর্য্য আর মনোসংযোগের চূড়ান্ত দেখিয়েই দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন এ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
এরই মধ্যে নবম উইকেটে তাসকিনের সঙ্গে যোগ করে ফেলেছেন ১৩১ রান। যা কি না নবম উইকেটে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। দলীয় সংগ্রহও ছাড়িয়ে গেছে চারশ রানের ঘর। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নিয়েছেন তাসকিন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ১০৪ ওভারে ৮ উইকেটে ৪০১ রান। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে বাংলাদেশ দলের এটিই দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১০৫ ও তাসকিন ৫২ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
Discussion about this post