খেলাধূলা ডেস্ক
সাদমান ইসলাম সেঞ্চুরি করার পর ঝড়ে বেগে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন নাজমুল হোসেন শান্তও। ক্যারিয়ারে এটা শান্তর দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এবার জিম্বাবুয়েকে পেয়ে হারারেতে তুলে নিলেন দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
শান্তর আগে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। ১৮০ বল খেলে সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। তবে শান্ত সেঞ্চুরি করেন একেবারে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে। ১০৯ বলে সেঞ্চুরি আসে তার ব্যাটে।
সাদমান এবং শান্তর সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের লিড পার হয়ে গেছে ৪৫০ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের রান ১ উইকেট হারিয়ে ২৭৫।
প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে দ্বিতীয় ইনিংসে রানের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশের টপঅর্ডার। দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও সাইফ হাসানের পর তিন নম্বরে নাজমুল হোসেন শান্তুও করছেন সাবলীল ব্যাটিং। যার সুবাদে বাংলাদেশের লিড সাড়ে চারশ ছাড়িয়ে গেছে।
আগের দিন ১৭ ওভার খেলে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৫ রান করেছিল বাংলাদেশ। আজকের প্রথম সেশনে ৩২ ওভার ব্যাটিং করে ১ উইকেট হারিয়ে ওভারপ্রতি প্রায় ৪ গড়ে তুলেছে ১২৪ রান। সাইফ আউট হয়েছেন ৪৩ রান করে। সাদমান ৭২ ও শান্ত অপরাজিত রয়েছেন ৪৫ রানে।
আজকের দিনের শুরু থেকেই ইতিবাচক ব্যাটিং করছিলেন সাইফ ও সাদমান। দুজনের ব্যাট থেকেই এসেছে দৃষ্টিনন্দন কিছু শট। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল, দুজনই খেলবেন বড় ইনিংস। কিন্তু রিচার্ড এনগারাভার করা দিনের ১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৮৮ রানের মাথায় বিদায়ঘণ্টা বাজে সাইফের।
অফস্ট্যাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে জায়গায় দাঁড়িয়ে স্কয়ার কাট খেলেছিলেন সাইফ। কিন্তু সেখানে প্রস্তুত ছিলেন ডিয়ন মায়ার্স। বলটি তালুবন্দী করে সমাপ্তি ঘটান সাইফের ৬ চারের মারে খেলা ৯৫ বলে ৪৩ রানের ইনিংসের। সম্ভাবনা জাগিয়েও ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি করা হয়নি এ ডানহাতি ওপেনারের।
উল্লেখ্য, জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড হলো পাকিস্তানের সাথে। প্রায় ২৩ বছর আগে ১৯৯৮ সালে ১৬২ রান তাড়া করে ৭ উইকেটে জিতেছিল তারা। এর বাইরে রান তাড়া করে আর ৪টি ম্যাচ জিতেছে জিম্বাবুয়ে। চতুর্থ ইনিংসে মাত্র তিনবার তিনশর বেশি রান করেছে রোডেশিয়ানরা।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময় রান খরায় ভোগা জিম্বাবুইয়ানরা টেস্ট ক্রিকেটে শেষ ৪০০ রান করেছিল দেড় বছর আগে, সেই ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এবং সেটা এই হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪০৬ রানের পর শেষ ৫ টেস্টে একবারও ৪০০ করতে পারেনি তারা।
Discussion about this post