এর আগে, ৪৭৭ রানের টার্গেটে নেমে ৪র্থ দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১৪০ রান। প্রথম ইনিংসে ৪৬৮ করা বাংলাদেশে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ১ উইকেটে ২৮৪ রানে। হেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বাংলাদেশের সাদমান ও শান্ত। হারারে টেস্টে চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ ব্যাটিং শুরু করে পুরোপুরি নির্ভার থেকে। ফার্স্ট ইনিংসে ৪৬৮ রান করা টাইগাররা, ৪৫ রানে কোন উইকেট না হারিয়ে স্টার্ট করে ফোর্থ ডের ব্যাটিং। তখনি ২৩৭ রানের লিডে ছিলো মুমিনুলের দল।
ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ের একমাত্র আনন্দের মুহুর্ত সাইফ হাসানের উইকেট। রিচার্ড নাগ্রাভার বলে সাইফ ফিরেছেন সেঞ্চুরির ঠিক আগে। হাতে উইকেট, স্কোরবোর্ডে পর্যাপ্ত রান, এই দুইয়ে মিলে দুই ইয়াং টাইগার সাদমান ইসলাম আর নাজমুল শান্ত ছড়ি ঘুরিয়েছেন জিম্বাবুয়ে বোলারদের ওপর। দুজনের পার্টনারশিপ ম্যাচে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৯৬।
ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সাদমান ইসলাম। খেলেছেন ১৯৬ বল। ৬ নেই একটাও ও ৪ মেরেছেন ৯টা। টেস্ট ক্যারিয়ারে অভিষেক সেঞ্চুরির দিনে সাদমান অপরাজিত ছিলেন ১১৫ রানে।
সাদমানের প্রথম সেঞ্চুরির দিনে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি এসেছে নাজমুল শান্তর ব্যাট থেকে। নাজমুল খেলেছেন পুরো ওয়ানডে মেজাজে। ১১৮ বলে অপরাজিত ছিলেন ১১৭ রানে। ৬টা ছক্কার সাথে মেরেছেন ৫টা চার।
শেষ ইনিংসের শুরুতেই জিম্বাবুয়ের মিল্টন সুম্বাকে তুলে নেন তাসকিন। এরপর উইকেট পড়েছে আরও দুইটা। সেঞ্চুরির ঠিক আগেই টেইলরের বিদায়ে বড় ধাক্কা লেগেছে স্বাগতিক শিবিরে। তাসকিন-মিরাজের পর উইকেট পেয়েছেন সাকিবও।
এর আগে, বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে মাহমুদুল্লাহ’র অনবদ্য ১৫০ রান, লিটনের ৯৫ রান, তাসকিনের ৭৫ রান ও অধিনায়ক মুমিনুলের ৭০ রানে ভর করে ৪৬৮ রান করে। জবাবে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৭৬ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংসে ১২৬ ওভারে ৪৬৪ (মাহমুদউল্লাহ ১৫০, তাসকিন ৯৫, মুমিনুল ৭০; মুজারাবানি ৪/৯৪, তিরিপানো ২/৫৪, নিয়াউচি ২/৯২) ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৪.৪ ওভারে ২৮৪/১ (ডিক্লে.) (শান্ত ১১৭*, সাদমান ১১৫*, সাইফ ৪৩; এনগারাভা ১/৩৬)।
জিম্বাবুয়ে: প্রথম ইনিংসে ১১১.৫ ওভারে ২৭৬ (কাইতানো ৮৭, টেলর ৮১, শুম্বা ৪১; মিরাজ ৫/৮২, সাকিব ৪/৮২) ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৪.৪ ওভারে ২৫৬ (টেলর ৯২, তিরিপানো ৫২, মুজারাবানি ৩০; মিরাজ ৪/৬৬, তাসকিন ৪/৮২)।
ফল: বাংলাদেশ ২২০ রানে জয়ী।
সিরিজ: একমাত্র টেস্ট বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: মাহমুদউল্লাহ।
Discussion about this post