ক্রীড়া ডেস্ক
গত কয়েক বছর ধরে দলের প্রয়োজনে তামিম বদলে ফেলেছেন তার ব্যাটিং স্টাইল। দলের স্বার্থে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের চেয়ে ইনিংস গড়ার দিকে মনোযোগ তার। অবশেষে হারারের শেষ ওয়ানডেতে আগের তামিমের দেখা মিললো। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৮৭ বলে পূরণ করলেন সেঞ্চুরি। তাতে গড়ে ফেললেন নতুন কীর্তি, এটাই এখন তামিমের দ্রুততম সেঞ্চুরি।
২৯৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে চতুর্থ ওভার থেকে আক্রমণ বাড়াতে থাকেন তামিম। শুরু করেন ব্লেজিং মুজারাবানিকে বাউন্ডারি মেরে। সময় যতো বাড়তে থাকে, তামিম ততো চড়াও হতে থাকেন জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে ওয়ানডেতে দ্রুততম সেঞ্চুরি চলে আসে তার। ৮৭ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি তামিমের ১৪তম সেঞ্চুরি। আগের দ্রুততম ছিল ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ৯৪ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তামিম।
সেঞ্চুরির সংখ্যায় অনেক আগে থেকেই তামিম সবার ওপরে। দেশে-বিদেশ মিলিয়ে সাতটি করে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা এখন ১৪। সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, চারটি। এরপর ৯ সেঞ্চুরি নিয়ে দুয়ে আছেন সাকিব আল হাসান। মুশফিকুর রহিমের ৮টি ও লিটন দাসের সেঞ্চুরি আছে ৪টি। মঙ্গলবার ১১ ইনিংস পর তামিম সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছেন। ৮৭ বলে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে ৭ চার ও ৩ ছক্কা মেরেছেন। সব মিলিয়ে ৯৭ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় তামিম ১১২ রানে আউট হন।পুরো ইনিংসে দুর্দান্ত খেলা তামিম ডোনাল্ড তিরিপানোর আলগা বলে আউট হয়েছেন।
২০১৫ বিশ্বকাপের আগপর্যন্ত আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেই অভ্যস্ত ছিলেন এই ওপেনার। অবশেষে পুরনো তামিমকে হারারেতে পাওয়া গেছে। ক্রিজে থেকে জিম্বাবুয়ে বোলারদের ওপর রীতিমতো ছড়ি ঘুরিয়েছেন তামিম।
ওই বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ২৫.৬৬ গড়ে এক হাফসেঞ্চুরিতে তামিম করেছিলেন ১৫৪ রান। এমন বাজে ব্যাটিংয়ের পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ওই বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর শুরু তামিমের বদলে যাওয়া। ব্যর্থতা ঝেরে ২০১৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজে নিজেকে উপস্থাপন করলেন নবরূপে।
Discussion about this post