ক্রীড়া ডেস্ক
সিরিজ নিশ্চিত হয়েছিল আগের ম্যাচেই। তবে শেষ ম্যা্চটা উৎসবে রঙিন হলো তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে তাদেরই মাঠে হোয়াইটওয়াশ করার মাধ্যমে। হারারে স্পোর্টস ক্লাবের শেষ ম্যাচ লাল-সবুজ জার্সিধারীরা জিতেছে ৫ উইকেটে।
তামিম ইকবালের দ্রুততম সেঞ্চুরির পরও জয় নিশ্চিত ছিল না বাংলাদেশের। তবে শেষদিকে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে বিপদ হতে দেননি পাঁচ বছর পর ক্যারিয়ারের মাত্র তৃতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা নুরুল হাসান সোহান। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুবও।
এই জয়ে স্বাগতিকদের ধবলধোলাই করার স্বাদ পেল বাংলাদেশ। এই নিয়ে দেশের বাইরে প্রতিপক্ষকে তৃতীয়বার হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পেল টাইগাররা। ২০০৯ সালের পর বিদেশের মাটিতে প্রতিপক্ষকে প্রথমবার ধরলধোলাই করলো বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের পঞ্চাশতম ওয়ানডে জয়। এই প্রথম কোনো দলের বিপক্ষে জয়ের ফিফটি পারল বাংলাদেশ।
সিরিজ জেতায় আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের ৩০ পয়েন্টের সবকটি পেল বাংলাদেশ। ৮০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানও সংহত হলো।
বাংলাদেশের লক্ষ্য মোটেও সহজ ছিল না। আগে ব্যাট করে ৪৯.৩ ওভারে স্বাগতিকরা স্কোরে জমা করেছিল ২৯৮ রান। সেই লক্ষ্যে তামিমের ১১২ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের পর ১২ বল আগে ৫ উইকেট হাতে রেখে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন ৪৫ রানে অপরাজিত থাকা নুরুল ও ২৬ রানে অপরাজিত থাকা আফিফ হোসেন।
জিম্বাবুয়েকে ষষ্ঠবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করে সব মিলিয়ে ১৫বার এই আনন্দ উপভোগ করলো বাংলাদেশ। আফ্রিকার দলটি ছাড়াও নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও কেনিয়াকে দুইবার করে এবং পাকিস্তান, স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডকে একবার করে হোয়াইটওয়াশ করেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা তামিম নিঃসন্দেহে এই জয়ের নায়ক। তবে অপেক্ষায় থাকা নুরুল সুযোগ পেয়ে নিজেকে চিনিয়েছেন। প্রয়োজনের সময় ক্রিজে যেমন নিজেকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন, তেমনি খেলেছেন হাত খুলে। ৩৯ বলে খেলা ইনিংসটিতে মেরেছেন ৬ বাউন্ডারি। আফিফ ১৭ বলে হার না মানা ২৬ রান করতে মেরেছেন ৩ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কা।
ম্যাচসেরা ও সিরিজসেরা
শেষ ওয়ানডেতে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ম্যাচসেরা হয়েছেন তামিম। আর ব্যাট-বলে হাতে আলো ছড়িয়ে সিরিজসেরা পুরস্কার জিতেছেন সাকিব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৪৮ ওভারে ৩০২/৫ (তামিম ১১২, নুরুল ৪৫*, লিটন ৩২* সাকিব ৩০, মিঠুন ৩০, আফিফ ২৬*; মাধেভেরে ২/৪৫, তিরিপানো ২/৬১)।
জিম্বাবুয়ে: ৪৯.৩ ওভারে ২৯৮ (চাকাভা ৮৪, বার্ল ৫৯, সিকান্দার ৫৭; মোস্তাফিজ ৩/৫৭, সাইফউদ্দিন ৩/৮৭, মাহমুদউল্লাহ ২/৪৫)।
ফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজ বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: তামিম ইকবাল।
সিরিজসেরা: সাকিব আল হাসান।
Discussion about this post