খেলাধূলা ডেস্ক
আগের ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে ১৬৬ রান করেই সহজে জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। হারারেতে সিরিজ নির্ধারণী টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশকে এবার আরও বড় লক্ষ্য দিয়েছে স্বাগতিকরা।
অলিখিত এই ফাইনালে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ের দল।
বাংলাদেশের বিপক্ষে যা জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ওয়েসলি মাধেভেরে ও রেগিস চাকাভার ঝড়ো ব্যাটিং দুইশর কাছাকাছি সংগ্রহে নিয়ে যায় জিম্বাবুয়েকে।
রোববার তৃতীয় টি-টুয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে উড়ন্ত সূচণা এনে দেন দুই ওপেনার টাডিওয়ানাশে মারুমানি ও মাধেভেরে। ক্রমেই ভয়ঙ্কর হতে থাকা জুটিটি ভাঙেন মো: সাইফউদ্দিন। এই পেসার বোল্ড করেন মারুমানিকে।
ওপেনিং জুটিতে আসে ৬৩ রান। পাওয়ার প্লে’র শেষ বলে উইকেট পান সাইফউদ্দিন। আউট হওয়ার আগে মারুমানি করেন ২০ বলে ২৭ রান।
মারুমানি ধীরগতিতে ব্যাট চালালেও তার মাধেভেরে শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। তাসকিন আহমেদের এক ওভারেই মারেন পাঁচটি চার।
সাইফউদ্দিন ব্রেক থ্রু এনে দিলেও লাভ হয়নি। তিনে নেমে চাকাভাও ঝড় তোলেন ব্যাট হাতে। দুই প্রান্ত থেকেই চার-ছক্কার উইৎসব চলতে থাকে। ৯.৩ ওভারে ১০০ রান তুলে ফেলে জিম্বাবুয়ে।
সৌম্য সরকারের জোড়া সাফল্যে রানের লাগাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। ২২ বলে ৪৮ রান করা চাকাভাবে ইনিংসের দ্বাদশ ওভারের প্রথম বলে ফেরান সৌম্য।
বাউন্ডারি লাইনে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন শামীম পাটোয়ারি। যদিও বেশি কৃতিত্ব নাঈম শেখের। অসাধারণ এক ক্যাচ নিয়ে নিজে চলে যান মাঠের বাইরে তবে বল ছুঁড়ে মারেন সতীর্থ ফিল্ডারের কাছে। আউট হওয়ার আগে এ ব্যাটসম্যান মারেন ছয়টি ছক্কা।
সৌম্য ওই ওভারের পঞ্চম বলে শুন্য রানে বোল্ড করে ফেরান জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক রাজাকে। পরে সাকিব আল হাসান সাজঘরে পাঠান মাধেভেরেকে।
শেষে আবার রান বাড়িয়ে নেয় জিম্বাবুয়ে। রায়ান বার্লের ১৫ বলে ৩১ রানের অপরাজিত ক্যামিও ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৯৩ রানে থামে জিম্বাবুয়ে।
Discussion about this post