খেলাধূলা ডেস্ক
আজ (সোমবার) পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নতুন এক রেকর্ডে নিজেকে আরও উঁচু অবস্থানে নিয়ে গেলেন সাকিব আল হাসান। তার এই ২ উইকেট তুলে নিতেই অনন্য এক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন অলরাউন্ডার সাকিব। ক্রিকেট ইতিহাসে যা নেই আর কারও। ২০ ওভারের ক্রিকেটে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে এক হাজার রান ও ১০০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখান সাকিব আল হাসান।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হওয়ার আগে এমন কীর্তি থেকে মাত্র ৫ উইকেট দূরে ছিলেন সাকিব। প্রথম তিন ম্যাচে একটি করে উইকেট নিলেও চতুর্থ ম্যাচে ছিলেন উইকেটশূন্য। তবে সোমবার আর অপেক্ষায় রাখলেন না, ২ উইকেট তুলে নিতেই রেকর্ড বুকে নিজের নাম তুলে ফেললেন সাকিব। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড ও অ্যাশটন টার্নারকে তুলে নিয়ে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ক্রিকেটের এই সংস্করণে ১ হাজার রান ও ১০০ উইকেট পাওয়ার অনন্য কীর্তি গড়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। আজ ৩.৪ ওভারে মাত্র ৯ রানে পেয়েছেন ৪ উইকেট।
৮৪ ম্যাচে সাকিবের রান ১ হাজার ৭১৮। আর বল হাতে পেয়েছেন ১০০ উইকেট। রানের হিসাবে সাকিব খানিকটা পিছিয়ে থাকলেও উইকেট শিকারে তালিকায় দুই নম্বরে সাকিব। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে রান সংখ্যায় সাকিবের অবস্থান ২৩ নম্বরে। আর ডাবল অর্জনে সাকিব অনন্য।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ১০৭ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে লাসিথ মালিঙ্গা। ১০০ উইকেট নেওয়া মালিঙ্গা ব্যাট হাতে করেছিলেন ১৩৬ রান! সাকিবের পর ৯৯ উইকেট নিয়ে টিম সাউদি আছেন তিন নম্বরে। পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদির উইকেট সংখ্যা ৯৮। তার অবস্থান চার নম্বরে। ৯৫ উইকেট নিয়ে রশিদ খান আছেন পাঁচ নম্বরে।
২০০৬ সালের ৬ আগস্ট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাকিবের। শুক্রবার বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ১৫ বছর পূর্ণ করেছেন। তার মাইলফলকের দিনে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মতো সিরিজ হারিয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের জার্সিতে সাকিব খেলেছেন ৫৮ টেস্ট, ২১৫ ওয়ানডে ও ৮৪ টি টি-টোয়েন্টি।
ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে সাকিবের রান ১ হাজার ৭১৮। বল হাতে নিয়েছেন ১০২ উইকেট। ২০ রানে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নিয়েছেন। ৪ উইকেট নিয়েছেন চারবার, ৫ উইকেট নিয়েছেন একবার।
Discussion about this post