খেলাধূলা ডেস্ক
সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশিবার উচ্চারিত একটি টার্ম হলো ‘ফাইন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’ । বার্সেলোনা, মেসি এবং পিএসজির কারণে এ তিনটি শব্দ সমষ্টি খুবই পরিচিতি ক্রীড়া প্রেমীদের কাছে। এই ফাইন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’র নিয়ম-নীতির কারণেই মেসিকে ধরে রাখতে পারেনি বার্সেলোনা। শেষ মুহূর্তেই ছেড়ে দিতে হয়েছে বিশ্বসেরা এই ফুটবলারকে।
এরপর প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) আবার এই মেসিকেই সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক দিয়ে কিনে নিয়েছে । মেসি, নেইমার, এমবাপ্পে, রামোস, ডি মারিয়া, ডোনারুমার মত বিশ্বখ্যাত ফুটবলাররাও রয়েছেন এই দলে।
যদিও পিএসজি প্রেসিডেন্ট নাসের আল খেলাইফি সরাসরি বলে দিয়েছেন, তারা কোনো নিয়ম ভঙ্গ করছে না। কিন্তু চারদিক থেকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠছে ফাইন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’র নিয়ম-নীতির ধারা উপস্থাপন নিয়ে।
এ পরিস্থিতিতে যেন জটিল একটা সমস্যার মধ্যে পড়ে গেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা উয়েফা। সবশেষে সমস্যা সমাধানের জন্য বিকল্প পথে এগুনোর চিন্তা করছেন সংস্থাটির সভাপতি আলেক্সান্ডার সেফেরিন।
তিনি জানিয়েছেন, উয়েফার ফাইন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’র নিয়মটাই বদলে দেবেন। যেমনটা যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল লিগ এনবিএতে অনুসরণ করা হয়, ঠিক সেই নিয়মই তারা উয়েফায় অনুসরণ করবেন। তার এই প্রস্তাব বা চিন্তাটা ডকুমেন্টস আকারে আগামী উয়েফা কংগ্রেসে উপস্থাপন করবেন বলেও জানিয়েছেন সেফেরিন।
টাইমসে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে আলেকজান্ডার সেফেরিনের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই নতুন ফাইন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে মডেলের কথা তুলে ধরেন। যেটা তৈরি করা হবে পুরোপুরি এনবিএ’র আদলে।
এনবিএ’তে নিয়ম করা আছে, প্রতিটি দল চাইলে ফাইন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’র ধরা-বাধা নিয়মে অর্থ ব্যয়ের সীমা অতিক্রম করতে পারবে। যে কারণে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করা হবে না কিংবা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকেও বাদ দেয়া হবে না। তবে, যেসব দল অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করবে, তাদের ওপর করের বোঝাটা একটু বেশিই করে দেয়া হবে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া অতিরিক্ত ট্যাক্সের টাকা ভাগ করে দেয়া হবে নিচু সারির দলগুলোকে। যাতে করে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি হয়।
এনবিএ’তে বেশ কয়েকটি দল নিজেদের খেলেয়োড়দের পারিশ্রমিক সীমা অতিক্রম করে যায় এবং সেই অতিরিক্ত ট্যাক্স প্রদান করে থাকে। যদি এই অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের কারণে একটি ভালো মৌসুম কাটায়, তখন সেই দলটির সামনে আর কোনো সমস্যা তৈরি হয় না। অতিরিক্ত অর্থ তাদের রিটার্ন আসে। কিন্তু মৌসুম কোনো কারণে খারাপ গেলেই বিপদ, অতিরিক্ত লগ্নি করা অর্থ আর ফিরে আসে না।
Discussion about this post