খেলাধূলা ডেস্ক
আজ কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথামের সঙ্গে যখন টস করতে নেমেছেন, তখনই হয়ে গেছে রেকর্ডটা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও জানতেন, প্রথম বাংলাদেশি এবং বিশ্বের অষ্টম ক্রিকেটার হিসেবে শততম ম্যাচ খেলছেন তিনি।
সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির পরই ব্যক্তিগত মাইলফলকের ব্যাপারে মাহমুদউল্লাহ বলেছিলেন, ‘আলাদা কোনো পরিকল্পনা নেই। সবসময় যেটা করার চেষ্টা করি, দলের জন্য খেলা। দলের জন্য ভালো খেলা। নিজের ১০০তম ম্যাচেও সেটাই করার চেষ্টা করব।’
প্রায় ১৪ বছর আগে এই সেপ্টেম্বরেই (১ সেপ্টেম্বর ২০০৭) কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে টি-টোয়েন্টি অভিষেক রিয়াদের। প্রথম ২০ ম্যাচে অর্ধশতকের দেখা পাননি। প্রায় ৫ বছর পর ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর ঢাকার শেরে বাংলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম হাফসেঞ্চুরিতে করেন ৪৮ বলে ৬৪ রান।
তারপর থেকে ধীরে ধীরে রান খরা কেটে যায়। এখন সবমিলিয়ে ৯৯ টি-টোয়েন্টিতে ৯১ বার ব্যাটিংয়ে নেমে করেছেন ১৭০২ রান, সর্বোচ্চ ৬৪, গড় ২৩.৯৭ ও স্ট্রাইকরেট ১২০.১৯, ফিফটি ৫টি। বোলিংটাও মন্দ না। উইকেট ৩২টি, সেরা বোলিং ৩/১৮, ওভার পিছু রান ৭.২৫।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২ বলে ৩৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে ১৪০ এর ঘরে পৌঁছে দিতে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং এই ইনিংসটি তাকে এনে দিয়েছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
ঠিক এভাবেই নীরবে নিভৃতে দলকে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টি-টোয়েন্টি দলকে সামনে থেকে নেতৃত্বও দিচ্ছেন। যার প্রমাণ মিলবে একটি ছোট্ট পরিসংখ্যানে। সাকিবের পর টিম বাংলাদেশের পারফরমারদের মধ্যে রিয়াদই দ্বিতীয় সর্বাধিক পাঁচবার ম্যাচ সেরা হওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।
Discussion about this post