খেলাধূলা ডেস্ক
হ্যাটট্রিক সিরিজ জেতার পর টাইগারদের লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা। তবে বাংলাদেশের মাঠের কন্ডিশন আর সংযুক্ত আরব আমিরাতের কন্ডিশন বাস্তবতায় কিছুটা সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
তবে মাঠের পিচ যেমনই হোক, দলের জন্য ভালো করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন তরুণতুর্কি নাসুম আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমি একজন পেশাদার খেলোয়াড়, যেকোনো অবস্থাতেই আমাকে খেলতে হবে। ফ্ল্যাট কিংবা স্পিন, উইকেট যেটাই হোক আমাকে দলের জন্য ভালো করতে হবে। উইকেটে সুবিধা না থাকলেও আমাকে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’
ওয়ানডেতে টিম টাইগার্সের রেকর্ডবুক সমৃদ্ধ হলেও ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতে বলতে গেলে এখনো তলানিতে মাহমদুউল্লাহ বাহিনী। তবে সর্বশেষ তিন সিরিজে জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া আর সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জেতায় র্যাংকিংয়ে দশ নাম্বার থেকে এক লাফে ছয়ে এসে পড়েছে।
তবে বাংলাদেশের কন্ডিশনে নিজেদের মনগড়া পিচে এমন সাফল্য নিয়েও বিস্তর সমালোচনা আছে। সফরকারী দলগুলোও কোনো রাখঢাক না রেখেই সমালোচনা করছে। এছাড়া বিগত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপগুলোতে খুব একটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই এবার ভালো করার আশা নিয়ে নাসুম বললেন, সবসময় একই পরিস্থিতি থাকে না। তবে তিনি এটাও মনে করিয়ে দিলেন, বেশি আশা করাও ভালো হবে না।
টাইগারদের প্রতি বিশ্বাস রাখার জন্যও আর্জি জানিয়েছেন নাসুম। বলেন, ‘সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। ইনশাআল্লাহ আমরা ভালো কিছু করব। আমাদের প্রতি সেই বিশ্বাসটা রাখবেন সবাই।’
এদিকে, সদ্য সমাপ্ত নিউজিল্যান্ড সিরিজে সব মিলিয়ে ৮টি উইকেট শিকার করে ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছেন নাসুম। শেষ ম্যাচে ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৫ রানে একটি উইকেট নেন এই স্পিনার। তার আগে চার ম্যাচে নিয়েছেন ৭ উইকেট।
মিরপুরে কিউইদের বিপক্ষে চতুর্থ ম্যাচে বল হাতে দারুণ অবদান রেখেছিলেন নাসুম। সেদিন ১০ রানে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। হয়েছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।
এছাড়া নাসুম আহমেদ এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজেও এক ম্যাচে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন। দু’দলের ওই সিরিজের প্রথম ম্যাচেই নাসুম ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। সেবার খরচ করেছিলেন ১৯ রান। ওই সিরিজে তিনিই ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি, ৫ ম্যাচে পকেটে পুড়েছিলেন ৮ উইকেট।
Discussion about this post