খেলাধূলা ডেস্ক
তার বাবার কাছেই দাবা খেলার হাতেখড়ি। এরপর স্কুলের শিক্ষকদের সহায়তা ও ঘরোয়া অনুশীলনে সাফল্যের চূড়ায় বাংলাদেশের ওয়ারসিয়া খুশবু। সাফল্য এনে নামের মতোই চারদিকে খুশবু ছড়িয়েছে এই শিক্ষার্থী।
অনলাইনে অনুষ্ঠিত এশিয়ান অনলাইন স্কুল দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব-৯ বালিকা বিভাগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশের ওয়ারসিয়া খুশবু। চলতি বছরের আগস্টে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় সেরা হয়ে চ্যাম্পিয়ন খুশবু দেখিয়েছে মহামারি করোনা কোনো প্রতিভাকে আটকে রাখতে পারে না।
সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ওয়ারসিয়া খুশবুর স্বপ্ন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়া। তার বাবা মেহেদেী কায়সার একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত, মা শাহিদা আক্তার গৃহিণী। বাবা-মা দুজনেই চাইছেন মেয়েকে এক সময় গ্র্যান্ডমাস্টার বানাবেন। কিন্তু এই স্বপ্নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল অর্থ।
এ সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল নিজের স্কুল। অনলাইনে দাবা খেলা অনুশীলনের জন্য খুশবুকে ল্যাপটপ উপহার দিল সাউথ পয়েন্ট স্কুল। শুধু তাই নয়, তাকে দেওয়া হয়েছে বিনা বেতনে লেখাপড়া করারও সুযোগ।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মালিবাগ শাখার অধ্যক্ষ কর্নেল (অব.) মো. সামসুল আলম খুশবুর হাতে এই ল্যাপটপ তুলে দেন।
নিজের স্কুলের কাছে থেকে ল্যাপটপ পেয়ে অনেক খুশি খুশবু। নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে খুশবু বলে, অনেক ভালো লাগছে। স্যার ও স্কুলকে ধন্যবাদ। ল্যাপটপ পাওয়ার পর আমি অনলাইনে আরও বেশি বেশি অনুশীলন করতে পারব। বড় হয়ে ভালো দাবা খেলতে চাই ও গ্র্যান্ডমাস্টার হতে চাই।
অন্যদিকে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সামসুল আলম বলেন, ওয়ারসিয়া খুশবুকে আমাদের স্কুলে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ দিয়েছি। ও যখন বিদেশে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে চায় তখন আমরা সব সময় সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।
ওয়ারসিয়া এখন শুধু সাউথ পয়েন্ট স্কুলের সম্পদ নয়, সে দেশেরও সম্পদ। সেজন্য তার মেধাকে বিকশিত করতে আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
এশিয়ার ২৪ দেশের ৩৬১ জন বিভিন্ন বয়সের ক্যাটাগরিতে বালিকা বিভাগে অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশ দলের হেড অব ডেলিগেটের দায়িত্ব পালন করেছেন আন্তর্জাতিক অর্গানাইজার, ফিদে ইন্সট্রাক্টর ও মহিলা ফিদেমাস্টার মাহমুদা হক চৌধুরী মলি।
Discussion about this post