খেলাধূলা ডেস্ক
প্রথমবারের মতো মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে , বিশ্ব সেরা তিন ফুটবলার এক সঙ্গে খেলেও পিএসজিকে জেতাতে পারেনি! উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ‘এ’ গ্রুপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই হোঁচট খেতে হয়েছে মাওরিসিওি পচেত্তিনোর দলকে। বেলজিয়ান ক্লাব ব্রুজ ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে তারকায় ঠাঁসা পিএসজিকে।
ফরাসি ক্লাবটির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন আন্দের এরেরা। স্বাগতিকদের পক্ষে গোলটি করেন হ্যান্স ভানাকেন।
ইয়ান ব্রেডেল স্টেডিয়ামে শুরুর একাদশে নাম লিখিয়ে ফুটবলপ্রেমিদের দীর্ঘদিনের আগ্রহের অবসান ঘটান মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে ত্রয়ী। প্রতিপক্ষের মাঠে আশানুরূপ ভালো শুরু করতে পারেনি তারকাঠাসা দলটি। প্রথমদিকে কয়েকবার আক্রমনে গেলেও ডি-বক্সে নেয়ার আগেই বল হারিয়ে ফেলে তারা। তবে ১৫তম মিনিটে আন্দের হেরেরার গোলে এগিয়ে যায় পচেত্তিনোর শিষ্যরা। কিলিয়ান এমবাপ্পের দেয়া পাস ডি বক্স থেকে বাঁ পায়ের বাকানো শটে প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে নেন স্প্যানিশ এ মিডফিল্ডার।
পিছিয়ে গিয়ে ২৭তম মিনিটেই হ্যান্স ভানাকেনের গোলে সমতায় ফিরে স্বাগতিকরা। ডি-বক্সে বল পেয়ে দুর্দান্ত এক শটে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার কিমপেম্বেকে বোকা বানিয়ে জাল খুঁজে নেন বেলজিয়ান এ মিডফিল্ডার। এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের মধ্য দিয়েই প্রধমার্ধ শেষ করে দুই দল।
বিরতির পর খেলতে নেমে প্রথমার্ধের মতই বারবার বল হারাচ্ছিল পিএসজি। কোনোভাবেই স্বাগতিকদের গোলপোস্টে বল ভেড়াতে পারছিল না তারা। এদিকে ৫১তম মিনিটে ইনজুরিতে পড়ে দল থেকে বিদায় নেন এমবাপ্পে। শেষ মুহূর্তে কয়েকটি আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পায়নি ফরাসি জায়ান্টরা। বারবার বল হারানোর এ খেলায় শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় মেসি-নেইমারদের।
গ্রুপের অপর ম্যাচে আরবি লাইপজিগকে ৬-৩ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ পর্ব শুরু করে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি।
ম্যাচে ঘড়ির ১৫ মিনিটে পিএসজি প্রথম এগিয়ে যায়। বা প্রান্ত থেকে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে এমবাপ্পের দারুণ নিচু ক্রসে আন্দের হেরেরা বক্সের ভেতরে থেকে পা চালিয়ে দিয়েছেন অনায়াসে।
২৭ মিনিটে ক্লাব ব্রুজ সমতায় ফেরে। সবলের মাপা নিচু ক্রসে ভানাকেন প্লেসিং করে দিয়ে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোঁটান।
দুই মিনিট পর পিএসজির হয়ে এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলা লিওনেল মেসি গোল পেতে পারতেন। বক্সের প্রান্ত থেকে এই ফরোয়ার্ডের জোরালো শট ক্রস বারে লেগে ফিরে আসলে হতাশই হতে হয়।
এরপর শুধুই ব্রুজদের আধিপত্য। অন্তত তিনটি গোলের আক্রমণ হয়েছে। দুর্ভাগ্য তাদের। গোল ব্যবধান বাড়ানো যায়নি।
Discussion about this post