খেলাধূলা ডেস্ক
২০২১-২২ মৌসুমের ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড যাচ্ছে বাংলাদেশ। এক বছরে এটি হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় নিউজিল্যান্ড সফর। করোনা-বাস্তবতায় নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য যথেষ্টসংখ্যক জৈব সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করায় নিউজিল্যান্ড সরকারের ‘এমআইকিউ’ অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশ; সেজন্যই সম্ভব হচ্ছে এই সফর।
বুধবার এফটিপিতে ২০২১-২২ মৌসুমের বাকি সিরিজগুলোর জন্য তালিকা প্রকাশ করেছে নিউজিল্যান্ড। সেখানে রয়েছে বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস ও সাউথ আফ্রিকার নাম। মার্চ-এপ্রিলে নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্যও আলাদা সময় রাখা আছে তালিকায়।
করোনা বাস্তবতায় নিউজিল্যান্ড সফরে ‘ম্যানেজড আইসোলেশন অ্যান্ড কোয়ারেন্টাইন’ (এমআইকিউ) এখন একটি বড় মাথাব্যথার নাম সফরকারীদের জন্য। এমআইকিউইয়ের অর্থ হচ্ছে নিউজিল্যান্ডে প্রবেশের পর ১৪ দিন আইসোলেশনের জন্য হোটেলরুমের ব্যবস্থা করা, একই সাথে যদি আইসোলেশন চলাকালীন কেউ আক্রান্ত হয় তবে আলাদা ‘কোয়ারেন্টাইন হোটেলেরও’ ব্যবস্থা করা। নিউজিল্যান্ডে যে বা যারাই সফর করুক, আগে নিশ্চিত করতে হয় এমআইকিউ। এবং সবাইকে এমআইকিউ বরাদ্দ দেওয়াও হয়না।
এর আগে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডে টেস্ট খেলেছিল ২০১৯ এর এপ্রিলে।
জানা গেছে, নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য বাংলাদেশ দল ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ৩৫জনের জন্য এমআইকিউ স্পট নিশ্চিত করতে পেরেছে। অর্থাৎ সর্বোচ্চ ৩৫ জনের দল নিয়ে সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ডে যেতে পারবে বাংলাদেশ।
সমান সংখ্যক এমআইকিউ স্পট নিশ্চিত করতে পারায় সাউথ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডসও; কাজেই তাদেরও সফরসূচী চূড়ান্ত। নেদারল্যান্ডস জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে খেলবে তিন ওয়ানডের সিরিজ; সাউথ আফ্রিকা দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে নিউজিল্যান্ড যাবে ফেব্রুয়ারি-মার্চে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে নিউজিল্যান্ডে শুরু হবে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, যে ইভেন্টের জন্য ১৮১টি এমআইকিউ স্পট নিশ্চিত করা হয়েছে।
তবে সফরকারীদের তালিকায় নেই ভারতের নাম। মার্চে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া তাদের ওয়ানডের সফর পিছিয়ে ২০২২ এর শেষদিকে নেওয়া হয়েছে। এর কারণ নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা তাঁদের হাতে থাকা সফরসমূহ শেষ করে (যার মাঝে আবার ভারতের মাটিতে দুই টেস্ট তিন টি-টোয়েন্টির সফরও আছে।) দেশে ফিরে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন করবে।
সেই কোয়ারেন্টাইন শেষ করতে করতে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পার হয়ে যাবে। এরপর এফটিপিতে থাকা ঘরের মাটিতে থাকা সিরিজগুলো খেলে আবার অস্ট্রেলিয়া সফরেও যাবে কিউইরা। খেলোয়াড়দের বিশ্রাম ও নিজ পরিবারের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য ভারতের সফরটি পেছানো হয়েছে।
নিউজিল্যান্ড বর্তমানে আছে পাকিস্তানে। সেখানে ওয়ানডে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে তারা অংশ নেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেখান থেকে নিউজিল্যান্ড যাবে ভারতে।
Discussion about this post