খেলাধূলা ডেস্ক
দেশের ক্রিকেটের ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’বলা হয় মুশফিককে । কিন্তু, ওয়ানডে আর টেস্টের তুলনায় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তার পারফরম্যান্স অতোটা বর্ণীল নয়। ভালো যাচ্ছে না ফর্মটাও। ওমানের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে ব্যাটিং প্রস্তুতির জন্য চট্টগ্রামে ‘এ’ দলের হয়ে ম্যাচ খেলেছেন। বিশ্বকাপে তার কাছে অনেক আশা টাইগার ভক্তদের। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্বপ্নসারথীদের নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনে আজ থাকছে মুশফিকুর রহিমের ক্যারিয়ার।
২০১৮ সালের ১০ মার্চ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটা মনে আছে? নিদাহাস টি-টোয়েন্টি ট্রফিতে মুশফিকুর রহিমের ৩৫ বলে ৭২ রানের ইনিংসে ২১৫ রানের টার্গেট তাড়া করে জিতেছিল টাইগাররা। মুশফিকের টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন ছিল অনেক। কিন্তু, ওই ম্যাচের পর নাজমুল হাসান পাপনের মতোই অনেকে বলেছেন, মুশফিক যে এভাবে ছক্কা মারতে পারে, তা তো জানতামই না।
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যৌথভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসরে দেশের সর্বোচ্চ ২৫ ম্যাচ খেলেছেন। কিন্তু রানের হিসাবে সাকিবের অর্ধেকও করতে পারেননি। সাকিবের রান ৫৬৭, মুশফিকের মোটে ২৫৮।
সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ক্যারিয়ারটাই ওয়ানডে-টেস্টের মতো অতোটা সমৃদ্ধ নয় ৩৪ বছর বয়সী ক্রিকেটারের। ৯১ ম্যাচে ১৯.৭১ গড়ে নামের পাশে ১৩২১ রান তো গড়পড়তাই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চরম এক দুঃস্মৃতি আছে মুশির। ২০১৬ আসরে ব্যাঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে ৩ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২ রান। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা থাকলেও সে ম্যাচ ১ রানে হেরেছিল দল। সেই হারটা দুঃস্বপ্নের মতো বয়ে বেড়ান মুশফিক। বয়ে বেড়ায় দেশের ক্রিকেটভক্তরা।
আরও এক টি-টোয়েন্টি মেগা ইভেন্টের আগে অবশ্য একটা পরিসংখ্যান পক্ষেই কথা বলছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে মুশফিকের পারফরম্যান্স দুর্দান্ত। সেখানে খেলা ৫ ওয়ানডেতে প্রায় ৬১ গড়ে করেছেন ৩০২ রান। ভাঙা পাঁজর নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪৪ রানের ইনিংসের বীরত্বগাঁথা তো সবারই জানা।
Discussion about this post