খেলাধূলা ডেস্ক
জন্ম তার ফিনল্যান্ডে। সেখানকার শীতল আবহাওয়ায় বেড়ে ওঠা তার। ৭০% বণাঞ্চলে ঘেরা দেশটির সবুজ প্রকৃতির মাঝে কেটেছে শৈশব, কৈশোরও। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলকে ধ্যান-জ্ঞান বানিয়ে নেওয়া সেই তরুণ বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ড ছেড়েছেন এই ফুটবলের জন্যই।
নিজের জন্মভূমি ত্যাগ করে এই তরুণ পাড়ি জমিয়েছেন নিজের পিতৃভূমি বাংলাদেশে এখানেই গড়তে চান নিজের স্বপ্নের ফুটবল ক্যারিয়ার।
আর গল্পটি হলো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার তারিক কাজীর।
বাংলাদেশে খেলতে আসা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে হাইপ্রোফাইল ধরা হয় তারিক কাজীকে। কারণ, ইউরোপের কোন দেশের বয়সভিত্তিক মূল দলে খেলা এবং সেদেশের টপ লীগে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কেউ এর আগে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আসেনি। তারিক সর্বশেষ মৌসুমে ফিনিশ ক্লাব ইলভেস টেম্পেরের হয়ে খেলেছেন।
ইউরোপীয় ফুটবলের রঙিন ক্যারিয়ার ছেড়ে তিনি খেলতে এসেছেন ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের ফুটবলে। উয়েফা ইউরোপা লীগের বাছাইপর্বে খেলার অভিজ্ঞতা থাকা এই ফুটবলারের সামনে ছিল উজ্জ্বল সম্ভাবনা। তবে সব সুযোগ সুবিধা উপেক্ষা করে তারিক খেলতে আসেন ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৮৯তম দলটির হয়ে।
ঘরোয়া ফুটবলে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে দূর্দান্ত খেলা তারিক নজর কাড়েন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ইংলিশ কোচ জেমি’ডের। জেমির দলে ডাক পেয়ে ফিনল্যান্ডে বয়সভিত্তিক অনূর্ধ্ব-১৬, ১৭, ১৮, ১৯ দলের হয়ে খেলা তারিক নিজের স্বপ্নের লাল সবুজের জার্সি গায়ে জড়ান বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইপর্বের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
অভিষেক ম্যাচে দূর্দান্ত খেলে নিজের জাত চেনান তারিক। তারপরের গল্পটাতো সকলের জানা। লাল সবুজের জার্সিতে এখন নিয়মিত মুখ তিনি। রক্ষণভাগের অপরিহার্য একজন হয়ে উঠা তারিক জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত খেলেছেন সাতটি ম্যাচ।
পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী দেশের সুখ বিসর্জন দিলেও পেয়েছেন কোটি বাঙ্গালীর ভালোবাসা। এই ভালোবাসাকে পুঁজি করে নিজের সেরাটা দিয়ে বাংলাদেশ দলকে আরো অনেকদূর এগিয়ে নিবেন তারিক কাজী এমনটাই প্রত্যাশা ফুটবলভক্তদের।
Discussion about this post