খেলাধূলা ডেস্ক
বেলজিয়ামকে হতাশায় ডুবিয়ে প্রত্যাবর্তনের দুর্দান্ত এক নজির স্থাপন করলো ফ্রান্স। পাশাপাশি দ্বিতীয় দল হিসেবে পৌঁছে গেলো ফাইনালে।বেলজিয়ামের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে থাকা ফ্রান্সের সেমিফাইনাল থেকেই বিদায়ের সুর শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর অবিশ্বাস্য গল্প লিখে ফাইনালে পৌঁছে গেল ফরাসিরা।
খেলার মাত্র চতুর্থ মিনিটেই কেভিন ডি ব্রুইনার দুর্দান্ত এক শট ঠেকিয়ে দেন ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিস। কিন্তু ৩৭তম মিনিটে সেই ডি ব্রুইনাই বাঁদিক থেকে ঢুকে পড়া ইয়ানিক কারাসকোকে খুঁজে নেন। আর তা থেকে নিচু শটে লরিসকে পরাস্ত করেন ইয়ানিক।
তিন মিনিট পর ডি ব্রুইনা ফের একবার ফ্রান্সের রক্ষণে ঢুকে রুমেলু লোকাকুকে দিয়ে গোল করান। চেলসি স্ট্রাইকার দুরূহ কোণ থেকে যে বুলেটগতির শট নেন, তা ঠেকানোর সাধ্য ছিল না ফরাসি গোলরক্ষকের।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল ফ্রান্স। বল নিয়ন্ত্রণেও এগিয়ে ছিল তারা। এর মধ্যে খেলার এক ঘণ্টা পূর্ণ হওয়ার ঠিক আগে আঁতোয়া গ্রিজম্যান সহজ সুযোগ নষ্ট করলে ব্যবধান কমাতে পারেনি ফ্রান্স।
অবশেষে ৬২তম মিনিটে জালের খোঁজ পায় ফ্রান্স। কিলিয়ান এমবাপ্পের বানিয়ে দেওয়া বলে বেলজিয়ামের গোলরক্ষক থিবাউ কুর্তোয়াকে পরাস্ত করেন তারই রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ ও ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা।
ব্যবধান কমানোর পর দ্রুত সমতা টানার চেষ্টায় একের পর এক আক্রমণ শানায় ফ্রান্স। ৭ মিনিট পরই সেই সুযোগ এসে যায়। বেলজিয়ামের বক্সে ফাউলের শিকার হন গ্রিজম্যান। আর তা থেকে গোল শোধ করেন পিএসজি ফরোয়ার্ড এমবাপ্পে।
সমতায় ফেরার পর দুই দলই জয়সূচক গোলের খোঁজে মরিয়া চেষ্টা চালায়। এমবাপ্পে ও বেনজেমা ফিনিশিং দিতে না পারায় সেই চেষ্টায় সফল হচ্ছিল না ফরাসিরা। উল্টো লুকাকু বেলজিয়ামকে এনে দিয়েছিলেন কাঙ্ক্ষিত গোল। কিন্তু ভিএআর দেখে অফসাইডের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি।
এরপর ম্যাচের একদম শেষ সময়ে গিয়ে তৃতীয় গোল করে বেলজিয়ামকে হতাশায় ডোবায় ফ্রান্স। ডি-বক্সের মধ্যে ঠিকঠাক বল ক্লিয়ার করতে পারেনি বেলজিয়ামের ডিফেন্ডাররা, পেয়ে যান থিও হার্নান্দেজ। তার জোরালো শটে ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যায় ফ্রান্সের।
রোববার বাংলাদেশ সময় দিনগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে নেশনস লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হবে স্পেন ও ফ্রান্স।
Discussion about this post