খেলাধূলা ডেস্ক
উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে ২০২২ কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের ষষ্ঠ স্টেডিয়াম আল থুমামা। আগামী ২২ অক্টোবর আমির কাপ ফাইনাল খেলার মধ্যে দিয়ে উদ্বোধন হবে সাদা গাহফিয়া টুপির আদলে নির্মিত এ স্টেডিয়াম। ২০২২ সালের কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের খেলা মাঠে বসে দেখার অপেক্ষায় স্থানীয় ও প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
পারস্য উপ-সাগরের তীরে অবস্থিত শহর দোহা। একটা সময় জীবনের চিহ্নও ছিল না যে অঞ্চলে, তা আজ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সেরা শিল্পাঞ্চল। নানা রঙ আর বৈচিত্র্যে ভরপুর এক নগর, কাতারের এই রাজধানীটি।
স্টেডিয়ামগুলো এক একটির থিম এক একরকম। তবে সবাইকে অবাক করেছে দোহার রাশ আবু আবুদ স্টেডিয়ামের নকশা এবং নির্মাণশৈলী। দোহা বন্দরের উপকণ্ঠে ৯৭৪টি শিপিং কন্টেইনার দিয়ে তৈরি হয়েছে নান্দনিক এই স্থাপনা।
যদিও বিশ্বকাপের পরপরই ভেঙে ফেলা হবে স্টেডিয়ামটিকে। কি অবাক হলেন? হ্যাঁ, এটাই বাস্তবতা। রাশ আবু আবুদ স্টেডিয়াম, পৃথিবীর প্রথম স্থাপনা যা বানানোই হয়েছে ভেঙে ফেলার জন্য।
শিপিং কন্টেইনার দিয়ে বাহ্যিক অবকাঠামো তৈরি হলেও এর কাঠামো দাঁড়িয়ে থাকবে স্টিলের ওপর। বসানো হবে রিমুভেবল সিট। ম্যাচ শেষে যা খুলে ফেলা যাবে অবলীলায়। টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ স্থাপনা এক নতুন মাইলফলকের সৃষ্টি করবে মধ্যপ্রাচ্যে।
ভেঙে ফেলা হবে বলে অবশ্য কারুকাজে কোন কমতি নেই স্টেডিয়ামটিতে। দোহার পোর্ট সিটির ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে ধারণ করেই তৈরি হয়েছে অ্যারেনাটি। প্রতিটি কন্টেইনার ভিন্ন ভিন্ন রঙের হওয়ায়, বাচ্চাদের বিল্ডিং ব্লক খেলনার মতো দেখাবে বাইরে থেকে। আর খুব সহজেই, পরে এগুলোকে ব্যবহার করা যাবে নতুন কোন স্থাপনার কাজে।
ড. তালার সাহসুভারোলু আরও জানান, ’কাতার বিশ্বকাপ এতো বড় পরিসরে এ ধরণের কাজ আমরা আগে করিনি। ছোটখাটো যে কয়েকটা হয়েছে, সেটার অভিজ্ঞতা এখানে আমাদের কাজে লেগেছে। পুরো স্থাপনাটিকেই আমরা অন্য কোথাও কাজে লাগাতে পারবো। সে পরিকল্পনাও আমরা করে ফেলেছি।’
Discussion about this post