খেলাধূলা ডেস্ক
রাজস্থান রয়্যালসকে যখন কলকাতা হারিয়ে দিয়েছিল ৮৪ রানে। মুম্বাইয়ের প্লে অফের আশা ফিকে হয়ে এসেছিল তখনই। তবু একটা সম্ভাবনা ছিল, যদি মুম্বাই নিজেদের শেষ ম্যাচে সান রাইজার্স হায়দরাবাদকে হারাতে পারত ১৭১ রানের বিশাল ব্যবধানে।আইপিএলের সর্বাধিক শিরোপাজয়ী রোহিত শর্মাদের সামনে এ ছিল অসম্ভব এক সমীকরণ। আর সেই সমীকরণ মেলাতে বিশাল সংগ্রহও গড়েছিল তারা। কিন্তু আগেই ছিটকে যাওয়া সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়েও বাদ পড়লো মুম্বাই। অন্যদিকে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে গেল সাকিবদের।
কলকাতা নাইট রাইডার্স থেকে .৬৩৫ রান রেটে পিছিয়ে থাকায় শেষ চারে যেতে হলে জিততে হবে ১৭১ রানে। তার জন্য পূর্বশর্ত আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে বড় রান জমা করা। সে লক্ষ্যে মুম্বাই শুরু থেকেই চড়াও ছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ওপর।
ইশান কিষাণের কল্যাণে পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার আগেই প্রায় ৮০ ছুঁয়ে যায় দলটির সংগ্রহ। সেই যে রকেটে চড়েছে, এরপর মুম্বাইয়ের ইনিংস আর পেছন ফিরে তাকায়নি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে বটে, কিন্তু রানের সুতোয় ঢিল পড়তে দেননি কোনো ব্যাটারই। শুরুতে কিষান আর শেষে সূর্যকুমার যাদব তাণ্ডব চালিয়েছেন রীতিমতো। ফলে মুম্বাই থামে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ২২৩ (২০১৭ সালে পাঞ্জাবের বিপক্ষে) থেকেও ১২টি রান বেশি করে।
বড় স্কোর পাওয়ার পর বোলারদেরও জ্বলে উঠতে হতো সমানতালে। প্রতিপক্ষকে যে গুঁটিয়ে দিতে হতো ৬৫ এর কম রানে। কিন্তু মুম্বাই বোলাররা তা আর পারেননি। জেসন রয় আর অভিষেক শর্মার দারুণ উদ্বোধনী জুটিতে ৫.৪ ওভারেই দলটি তুলে ফেলে ৬৪ রান। মুম্বাইয়ের আশা শেষ হয়ে যায় তখনই। এরপর যা হয়েছে কেবল আনুষ্ঠানিকতা সারার কাজ।
অভিষেক আর রয়ের যথাক্রমে ৩৩ ও ৩৪ এর পর মিডল অর্ডারে মনিশ পান্ডের ৬৯ আর প্রিয়ম গার্গের ২৯ এ ভর করে দলটি ইনিংস শেষ করে ১৯৩ রান তুলে। ৪২ রানে হেরেও মুম্বাইকে নিয়েই বিদায় নেয় কেন উইলিয়ামসনের দল।
১৪ ম্যাচে ৭টি করে জয় ও হারে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে থেকে আসর শেষ করল মুম্বাই। অন্যদিকে সমান পয়েন্ট নিয়েও নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় প্লে-অফে উঠলো কলকাতা। আর ১৪ ম্যাচে মাত্র ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শেষ স্থান নিয়ে আসর শেষ হলো হায়দরাবাদের।
Discussion about this post