খেলাধূলা ডেস্ক
মহেন্দ্র সিং ধোনির সামর্থ্য সম্পর্কে যাদের এতটুকু সন্দেহ ছিলো তাদেরই যেন মোক্ষম জবাব দিলেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের কোয়ালিফায়ার ম্যাচে।
দুবাইয়ে রোববার (১০ অক্টোবর) রাতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান সংগ্রহ করে দিল্লী।
ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও মঈন আলীর দুর্দান্ত ইনিংসের পর ধোনির ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে জয় পেয়েছে ধোনির চেন্নাই। ৪ উইকেটের জয়ে তারা উঠে গেছে আইপিএলের ফাইনালে।
রোববার দুবাইয়ে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চেন্নাই। তাদের ঝড়ো শুরু এনে দেন ইনিংস উদ্বোধনে নামা পৃথ্বী শ। আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ান ৭ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যান। কিন্তু ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৪ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন শ। রবীন্দ্র জাদেজার বলে ফাফ ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এর মধ্যে ৮ বলে ১ রান করে শ্রেয়াস আয়ার ও ১১ বলে ১০ রান করে অক্ষর প্যাটেল আউট হলে বেশ বিপদে পড়ে দিল্লি। তবে ৮৩ রানের জুটি গড়ে দলের হাল ধরেন ঋষভ পান্ত ও শিমরন হেটমায়ার।
২৪ বলে ৩৭ রান করে হেটমায়ারের ফিরলেও ৩৫ বলে ৫১ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন পান্ত। ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রানে থামে দিল্লির ইনিংস। চেন্নাইয়ের পক্ষে ৪ ওভার বল করে ২৯ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন জশ হ্যাজলউড।
দিল্লিকে জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চেন্নাইয়েরও। প্রথম ওভারে চতুর্থ বলেই আউট হয়ে যান ডু প্লেসিস। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো ঝড় তুলেন রবিন উথাপ্পা। ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ বলে ৬৩ রান করেন তিনি।
৪৪ বলে ৬৩ রান করে উথাপ্পার বিদায়ের পর বিপদে পড়ে চেন্নাই। অবশ্য দুর্দান্ত ইনিংস খেলতে থাকা গাইকোয়াদ আগলে রাখে দলকে। শেষদিকে ৫০ বলে ৭০ রান করে সাঝঘরে ফিরেন তিনি। এরপর খেই হারিয়ে ফেলে চেন্নাই। ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি শার্দূল ঠাকুর ও আম্বাতি রাইডু।
শেষদিকে মঈন আলি নেমে ১৬ রান করে সাঝঘরে ফিরলে দলের জয় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তবে অধিনায়ক ধোনি নেমেই দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। ভারতীয় সাবেক এ অধিনায়কের ৬ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে ২ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে চেন্নাই সুপার কিংস।
Discussion about this post