খেলাধূলা ডেস্ক
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ’ডু অর ডাই’ ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। লক্ষ্য একটাই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ফাইনাল নিশ্চিত করা। স্কোর লাইনে সমস্যা থাকলেও বিচলিত নন অস্কার ব্রজন। আর আত্মবিশ্বাসী দল নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টির অপেক্ষায় কাপ্তান জামাল ভূঁইয়া। তবে চাপ মুক্ত থেকে নেপালও চায় প্রথমবারের মত ফাইনাল খেলতে।
মতিন কিংবা সুমন রেজারা কি বুঝতে পারছেন তাদের কাঁধে গুরুদায়িত্ব কতটা! অবশ্য শুধু তা বুঝলেই চলবে না। মাঠে থাকতে হবে প্রতিফলন। যে ডিফেন্সিভ কৌশলে মাঠে নামবে নেপাল সেটা ভাঙতে যে সুযোগ মিলবে গুটিকয়েক। এবারও যদি ভুল হয়, তবে ভুলের বৃত্তেই আটকে যাবে সম্ভাবনা।
যে অজুহাতে মালদ্বীপের বিপক্ষে হার, এবার আর তার সুযোগ নেই। দলের বিশ্রাম হয়েছে। নিষেধাজ্ঞায় থাকারাও ফিরছেন। ইয়াসিনের ঘাটতি হয়তো পুষিয়ে দেবেন কেউ। অপেক্ষা এবার একটা দল হয়ে লক্ষ্য পূরণ।
বাংলাদেশের কোচ অস্কার ব্রুজন বলেন, ’ফুটবলারদের প্রমাণ করতে হবে আমাদের ফুটবল এগিয়ে চলছে। আমি কোন অজুহাত দাঁড় করাতে চাই না। নেপাল হয়তো ডিফেন্ড করবে। কাউন্টার অ্যাটাকে যাওয়ার চেষ্টা করবে। কারণ ওদের ড্র করলেও চলবে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য একটাই। জয় তুলে নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করা।’
বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করতে চাই। সেটা অবশ্যই নেপালকে হারিয়ে। দল ভালো অবস্থানে আছে। বিশ্রামের পর সবাই মুখিয়ে শতভাগ উজাড় করে দিতে। আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমি স্ট্রাইকারদের ওপর ভরসা রাখতে চাই। কারণ তারা দারুণ একটা মৌসুম কাটিয়েছে।’
ঝুলিতে ছয় পয়েন্ট থাকায় এই ম্যাচে কিছুটা আপার হ্যান্ডে নেপাল। একটা ড্র তাদের নিয়ে যাবে প্রথম বারের মত সাফের ফাইনালে। এটা চাপ সৃষ্টি করলেও তা নিতে নারাজ ওরা। উল্টো কথার লড়াইয়ে বাংলাদেশকেই চাপে রাখার চেষ্টা।
Discussion about this post