খেলাধূলা ডেস্ক
আজকের নানা সমীকরণের ম্যাচে স্বাগতিক ওমানের বিপক্ষে ১৫৩ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ১৫৪ রানের টার্গেট ওমানের সামনে। টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।
প্রথম পাওয়ার প্লেতে বিবর্ণ বাংলাদেশ। মোটে দুটি চার আর একটি ছয় আসে প্রথম ৬ ওভারে। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে বড্ড বেমানান। কিন্তু ওমানের বোলারদের নিখুঁত লাইন-লেন্থে রান তুলতে হিমশিম খেতে থাকে বাংলাদেশি ব্যাটাররা।
ব্যক্তিগত ৪ রানে প্রাণ ফিরে পান লিটন দাস। তবে সুযোগ পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। বিলাল খানের বলে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। তবে সেটি ধরতে ব্যর্থ হন কাশাপ প্রজাপতি। এরপরই বিদায়ঘণ্টা বাজে তার। বিলাল খানের দুর্দান্ত ইর্য়কারে পরাস্ত হন লিটন। ফিরে যান ৬ রান করে।
লিটনের পর একই পথে হাঁটেন মেহেদী হাসানও। ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে তিন নম্বরে নামেন মেহেদী হাসান। কিন্তু তাতেও নড়বড়ে বাংলাদেশ। শুরুর চাপ তো দূরের কথা, উল্টো দলকে বিপদেই ফেলে গেলেন তিনি। ফায়াজ বাটের দুর্দান্ত ফিরতি ক্যাচে ফিরে যান মেহেদী। নিজের বলে বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন ফায়াজ। ৩ বল খেলে শূন্য রানে ফিরেছেন মেহেদী।
তবে ব্যতিক্রম ছিলেন সাকিব-নাঈম। ওমানের বোলারদের চোখ রাঙানি সামলে এগিয়ে নেন বাংলাদেশকে। প্রতিপক্ষ বোলারদের নিখুঁত লাইন-লেন্থ আর স্যুইংয়ে যখন পরাস্ত বাংলাদেশ তখন দেখে-শুনে এগোতে থাকেন এ দু’জন। গড়েন অর্ধশত রানের পার্টনারশিপ। শুরুতে খোলসবন্দী থাকলেও ধীরে ধীরে শট খেলেন তারা। তবে অর্ধশত রানের দিকে ছুটতে থাকা সাকিব ফিরে গেছেন দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট হয়ে। ২৯ বলে ৪২ রান করে রানআউটে কাটা পড়েন তিনি।
সৌম্যর বদলি হিসেবে নামা ওপেনার নাঈম শেখ তুলে নেন ফিফটি। তার ব্যাট থেকে আসে ৫১ বলে ৬৪ রান। চার মেরে ফিফটি পূর্ণ করেন নাঈম। ৪৩ বলে এ মাইলফলক পূর্ণ হয়েছে তার। তবে ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে নেমে নুরুল হাসান সোহানও বেশিদূর এগোতে পারেননি। মাকসুদের বলে তুলে মেরেছিলেন, টাইমিংটাও ভালোই হয়েছিল। তবে লং-অফে জিশানের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
এদিন সুবিধা করতে পারেননি আফিফ হোসেনও। কলিমউল্লাহর বলে ৫ বলে ১ রান করে ফিরে গেছেন তিনি। দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। আট নম্বরে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবলখ্যাত এই ব্যাটসম্যান। ফায়াজ বাটের বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৬ রান করে। এরপর হতাশ করেছেন সাইফউদ্দিন। ক্রিজে এসেই শূন্য রানে ফিরে গেছেন তিনি।
শেষদিকে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও আস্থার প্রতীক হয়ে উঠতে পারেনি। বিলাল খানের বলে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হয়ে ফিরেছিন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ১০ বলে ১৭ রান। ইনিংসের শেষ বলে বিলাল খানের বলে মুস্তাফিজ ক্যাচ আউট হলে অলআউট হয়ে যায় টিম বাংলাদেশ।
ওমানের হয়ে বিলাল খান ৩টি, ফায়াজ বাট ৩টি এবং কলিমউল্লাহ নিয়েছেন ২টি উইকেট।
Discussion about this post