খেলাধূলা ডেস্ক
চলমান টি-২০ বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে সুপার টুয়েলভ অভিযান শুরু করবে ভারত। আজ রবিবার দুবাইয়ে ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়। তার আগে গতকাল শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুই দলই মহারণের শেষ প্রস্তুতি সেরে ফেলল আইসিসি ক্রিকেট একাডেমিতে। ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট দল এদিন একই সময়ে সেখানে পৌঁছায়। এরপর দুই দল দুই দিকে তারা চলে যায় অনুশীলের জন্য।
পাকিস্তান টি-২০ ও ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ কোনও মঞ্চেই হারাতে পারেনি ভারতকে। তবে বাবর আজম ও বিরাট কোহলি দুইজনই অতীত রেকর্ডকে পাত্তা দিচ্ছেন না। পাকিস্তান দলকে সমীহ করে বিরাট কোহলি বলেন, ওই দলে এমন কিছু ক্রিকেটার আছেন যারা ম্যাচের মোড় বদলে দিতে পারেন। তাই সার্বিকভাবে রণকৌশল সাজিয়ে তার সফল বাস্তবায়নই বিরাট কোহলির ভারতের লক্ষ্য।
নিজেদের চাপমুক্ত রেখে পরিকল্পনার রূপায়ণে জোর দিচ্ছে পাকিস্তান শিবির। ম্যাচ উপভোগ করার বার্তাও এসে গেছে। বিরাট কোহলি ও বাবর আজম এই প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সাদা বলের ক্রিকেটে ব্যাটারদের তালিকায় এই মুহূর্তে বিরাটের চেয়ে এগিয়ে বাবর। ফলে দুই সেরা ব্যাটারের দ্বৈরথ ও ভারত-পাকিস্তানের ৬ বছর পর টি-২০ ম্যাচে মুখোমুখি হওয়া বড় আকর্ষণ হতে চলেছে। যদিও দুই শিবিরেই মহাম্যাচের আগে অদ্ভূত শান্তির পরিবেশ বিরাজ করছে। যা সচরাচর দেখা যায় না।
বিরাট কোহলি আশা করছেন, টি-২০ বিশ্বকাপের উইকেটগুলি ভালো হবে। আইসিসি ইভেন্টে সেটাই কাম্য। যে উইকেটে চেন্নাই সুপার কিংস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের আইপিএল ফাইনাল হয়েছিল সেই উইকেটের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন বিরাট। তার আশা, আবুধাবি ও দুবাইয়ের উইকেট ভালোই হবে। শারজার উইকেট তুলনায় স্বভাবগতভাবে ধারাবাহিকতা দেখিয়ে লো ও স্লো আচরণই করবে। শিশির টি-২০ বিশ্বকাপের ম্যাচে প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা বিরাটের।
ভারতীয় দল অনুশীলনে চনমনে মেজাজেই ছিল। বিরাট কোহলি, মোহম্মদ শামি, ঋষভ পন্থরা যখন প্রথমে ফুটবল খেলে গা ঘামালেন তখন জসপ্রীত বুমরাহকে দেখা গেল মহেন্দ্র সিং ধোনি ও বোলিং কোচ ভরত অরুণের সঙ্গে কথা বলে অনুশীলন করতে। পাশের নেটে তখন বোলিং করতে দেখা যায় রবিচন্দ্রন অশ্বিনকেও। মনে করা হচ্ছে, ভারতের প্রথম একাদশে অভিজ্ঞতার হিসাবেই ঢুকে পড়বেন অশ্বিন। হার্দিক পাণ্ডিয়া না খেললে শার্দুল ঠাকুরকে বিশেষ করে ডেথ ওভারের বোলিংয়ের জন্য প্রথম একাদশে রাখা হতে পারে। জসপ্রীত বুমরাহ থাকছেনই। ভুবনেশ্বর কুমারের চেয়ে সামান্য এগিয়ে থাকছেন সামিই।
ভারতের সম্ভাব্য একাদশ- লোকেশ রাহুল, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), হার্দিক পাণ্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, শার্দুল ঠাকুর, বরুণ চক্রবর্তী বা রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার বা মহম্মদ শামি এবং জসপ্রীত বুমরাহ।
পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ- বাবর আজম (অধিনয়ক), মোহম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), ফখর জামান, মোহম্মদ হাফিজ বা হায়দার আলি, শোয়েব মালিক, আসিফ আলি, শাদাব খান, ইমাদ ওয়াসিম, হাসান আলি, হ্যারিস রউফ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।
Discussion about this post