খেলাধূলা ডেস্ক
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত হ্যাটট্রিক সংখ্যা হাতে গোনা। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বমঞ্চে দর্শকরা এই নজির এখন পর্যন্ত দেখেছে তিনবার। তার মধ্যে এই বিশ্বকাপেই হ্যাটট্রিক হল দুটি। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে অন্য হ্যাটট্রিকটি করেন অস্ট্রেলিয়ার ব্রেট লি।
এবারের আসরে প্রথম হ্যাটট্রিক করেন আয়ারল্যান্ডের কার্টিস কাম্পার। শনিবার (৩০ অক্টোবর) সবশেষ হ্যাটট্রিকটি পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে দলীয় ১৫তম ওভারের শেষ বলে এইডেন মারক্রামকে সরাসরি বোল্ড আউট করেন হাসারাঙ্গা। ১৮তম ওভারে প্রথম দুই বলে হাসারাঙ্গা ফেরান টেম্ভা বাভুমা ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে। ৪৬ বলে টেম্ভা বাভুমা ৪৬, মারক্রাম ১৯ ও ডোয়াইন শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেন। হাসারাঙ্গা হ্যাটট্রিক করলেও তার দল প্রোটিয়াদের বিপক্ষে হেরেছে ৪ উইকেটে। লঙ্কানদের ১৪২ রানের জবাবে এক বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে নোঙর করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগে ১৮ অক্টোবর বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পরপর চার বলে চার উইকেট পান কার্টিস কাম্পার। ওই ম্যাচে ডাচদের ইনিংসের দশম ওভারে বল হাতে তুলে নেন কার্টিস কাম্পার। প্রথম বলটিই ওয়াইড দেন তিনি। পরের বলে তার কাছ থেকে কোনো রান তুলতে পারেনি ডাচরা। এরপরের বলেই কাম্পার তুলে নেন কলিন অ্যাকারম্যানের উইকেট। শর্ট লেগে কাম্পারকে খেলতে গিয়ে নেইল রককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অ্যাকারম্যান।
আইরিশদের দলীয় সংগ্রহ তখনও পঞ্চাশের ঘরে। তাতে ডাচদের ইনিংস অনেকটা থমকে যায়। যদিও শেষ দিকে পিটার সিলার ও ফন বিকের কল্যাণে একশোর কোটা পার হতে সক্ষম হয় নেদারল্যান্ডস। সিলার ২৯ বলে ২১ ও বিক ১১ বলে ১০ রান করে আউট হন। শেষ দুই ব্যাটার কোনো রানই তুলতে পারেননি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলেন দাউদ। ৪৭ বলে ৭ চারে ৫১ রান করেন তিনি। আয়ারল্যান্ডের হয়ে ২৬ রান খরচায় ৪ উইকেট পান কাম্পার। তিনটি উইকেট নেন মার্ক এডায়ার।
কাম্পারের হ্যাটট্রিকে শেষ পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসের দেওয়া ১০৭ রানের টার্গেট ১৫.১ ওভারেই পেরিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। ৭ উইকেটে জয় পায় আইরিশরা।
Discussion about this post