খেলাধূলা ডেস্ক
১৩০ রানের মধ্যে ইংল্যান্ডকে আটকে রাখতে পারলে সেমিফাইনালে যেতে পারতো দক্ষিণ আফ্রিকা।
কিন্তু মইন আলি, লিয়াম লিভিংস্টোনরা একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়ে ইংল্যান্ডের স্কোর ১৩০ রানের বাধা অতিক্রম করিয়ে দেয়ার পর যখন আর কোনো আশাই বাকি রইলো না, তখন প্রোটিয়াদের সামনে জয়ের স্বান্তনা নেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।
তবে, ম্যাচের শেষ মুহূর্তে এসে দুঃখের মাঝেও সান্ত্বনা খুঁজে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটাররা। কারণ, দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করেছেন প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদা। চলতি বিশ্বকাপে এ নিয়ে তৃতীয় হ্যাটট্রিকের ঘটনা ঘটলো এবার।
২০তম ওভারের প্রথম তিন বলে ক্রিস ওকস, ইয়ন মরগ্যান এবং ক্রিস জর্ডানের উইকেট নিয়ে এই হ্যাটট্রিক গড়েন রাবাদা। তিনটি উইকেটই পেয়েছেন তিনি স্লোয়ার ডেলিভারি দিয়ে। তার বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়েছে তিন ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ওকস আর মরগ্যান ডিপ মিডউইকেটে, একেবারে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন। ক্রিস জর্ডানও বাউন্ডারি মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন লং অফে উইকেট দেন।
হ্যাটট্রিক করে প্রোটিয়াদের ম্যাচ জেতালেও রাবাদা ছিলেন সবচেয়ে খরুচে বোলার। তার ৪ ওভার থেকে ইংলিশরা নিয়েছে ৪৮ রান। ১২ করে ইকনোমি রেট।
বিশ্বকাপে আগের দুই হ্যাটট্রিক গড়েন আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্ফার এবং শ্রীলঙ্কার ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা। তৃতীয় বোলার হিসেবে করলেন কাগিসো রাবাদা। শুধু বিশ্বকাপেই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকান প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করলেন রাবাদা। আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এটা হচ্ছে ২৫তম হ্যাটট্রিক।
Discussion about this post