খেলাধূলা ডেস্ক
ট্রফি কেসে পাঁচটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ থাকলেও এতদিন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফিটি ছিল না অস্ট্রেলিয়া দলের। রবিবার তাদের সেই আক্ষেপ পূরণ করেছেন মার্শ-ওয়ার্নাররা। সপ্তম আসরে এসে নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে জিতেছে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের শিরোপা জয়ের দিনে ডেভিড ওয়ার্নারও নতুন এক রেকর্ড গড়েছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অজি ক্রিকেটারদের মধ্যে এক আসরে সবচেয়ে বেশি রান এখন এই ওপেনারের।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সেরা হওয়ার দৌঁড়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন ম্যাথু হেইডেন ও শেন ওয়াটসনকে। রবিবার ৩০ রান দূরে থেকে তিনি ফাইনাল খেলতে নেমেছিলেন। এর আগে তার সংগ্রহ ছিল ২৩৬ রান। এদিন ৫৩ রানের ইনিংস খেলেই অস্ট্রেলিয়ার সেরা দুই ব্যাটারকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে যান তিনি। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২৬৫ রান করা ম্যাথু হেইডেন এতদিন ধরে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিলেন। রবিবার ৫৩ রানের ইনিংস খেলার পর ওয়ার্নারের বর্তমান সংগ্রহ ২৮৯ রান। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ৩০৩ রান করে শীর্ষে আছেন পাকিস্তানের ওপেনার বাবর আজম।
অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং লাইনে ওয়ার্নারের মতো ফর্মে আর কেউ নেই বলা চলে। তিনি ছাড়া দলের আর কেউই এই বিশ্বকাপে দেড়শোও অতিক্রম করতে পারেননি। অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ১৩০ রান করে দ্বিতীয় স্থানে আছেন। সে কারণেই টুর্নামেন্টের সেরা হয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। এর বাইরে রবিবার আরও একটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন বামহাতি এই ওপেনার। ৫৩ রানের ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটারের ছক্কা ছিল তিনটি। তাতে এক ভেন্যুতে সর্বোচ্চ ছক্কা মারার রেকর্ডটিও এখন তার দখলে। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শহীদ আফ্রিদির ছক্কার সংখ্যা ছিল ১৫টি। ওই তিন ছক্কায় ওয়ার্নারের মোট ছক্কা হয়ে গেছে ১৭টি।
আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দেশের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন ওয়ার্নার। ৩০ ম্যাচে তার রান এখন ৭৬২। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা শেন ওয়াটসন ২৪ ম্যাচে করেছেন ৫৩৭ রান। মাইক হাসি ২১ ম্যাচে রান করেছেন ৪৩৭।
Discussion about this post