খেলাধূলা ডেস্ক
নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। এবার হিসাবনিকাশের খাতা বন্ধ করার পালা। সেই হিসাবের খাতায় শেষ পর্যন্ত দল হিসেবে অজিরা এগিয়ে থাকলেও ব্যক্তিগত প্রাপ্তিতে এগিয়ে কারা? এই জায়গায় অস্ট্রেলিয়ানদের আধিপত্য অবশ্য কম।
এবারের বিশ্বকাপে রানের দিক থেকে সবার থেকে এগিয়ে আছেন বাবর আজম। তার দল পাকিস্তান আসরের সুপার টুয়েলভ পর্বে সবগুলো ম্যাচ জিতলেও সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিদায় নিয়েছে। কিন্তু ফাইনাল না খেলেও টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এই পাকিস্তানি ওপেনার। ৬ ম্যাচ খেলেই ৬০.৬০ গড় ও ১২৬ স্ট্রাইক রেটে ৩০৩ রান করেছেন বাবর। ফিফটি হাঁকিয়েছেন ৪টি।
রান সংগ্রাহকদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন ফাইনালে ৩৮ বলে ৬৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা ডেভিড ওয়ার্নার। ৭ ম্যাচে ৪৮.১৬ গড়ে এবং ১৪৬.৭০ স্ট্রাইক রেটে তার সংগ্রহ ২৮৯ রান, ফিফটি ৩টি। তিনে আছেন বাবরের সতীর্থ ও ওপেনিং সঙ্গী মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৬ ম্যাচ খেলে তিনি ৩ ফিফটিতে করেছেন ২৮১ রান।
বোলিংয়ে প্রথম পর্ব হিসাব করলে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। শ্রীলঙ্কার এই ‘রহস্য স্পিনার’ ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ১৬ উইকেট। কিন্তু সরাসরি মূল পর্ব হিসাব করলে শীর্ষে আছেন যৌথভাবে অ্যাডাম জাম্পা ও ট্রেন্ট বোল্ট। ৭ ম্যাচ করে খেলে দুজনের ঝুলিতে আছে ১৩টি করে উইকেট। কিন্তু গড়, ইকোনমি এবং স্ট্রাইক রেটের হিসাবে এগিয়ে থাকায় অজি স্পিনার জাম্পাই থাকবেন শীর্ষে।
বোলারদের তালিকায় চারে আছেন সাকিব আল হাসান। প্রথম পর্ব ও সুপার টুয়েলভ মিলিয়ে ৬ ম্যাচ খেলে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ঝুলিতে পুরেছেন ১১ উইকেট। হাসারাঙ্গা ছাড়া বাকি দুইজনের চেয়ে গড়, স্ট্রাইক রেট এবং ইকোনমির দিক থেকে সাকিব এগিয়ে। জাম্পার মতো ম্যাচে পাঁচ উইকেট না পেলেও তার সেরা বোলিং ৯ রানে ৪ উইকেট। সাকিবের সমান উইকেট নিয়েও ওই তিন ক্যাটাগরিতে পিছিয়ে থাকায় চারে আছেন অজি পেসার জশ হ্যাজেলউড।
Discussion about this post