খেলাধূলা ডেস্ক
গত রাতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়ে নিজেদের গ্রুপে শীর্ষস্থান অর্জনের মাধ্যমে সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে সার্বিয়া। আর তাতেই কপাল পুড়েছে রোনালদোদের।
গ্রুপের শীর্ষে না থাকলে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাওয়া যায় না। রোনালদোরা হয়েছেন দ্বিতীয়। ম্যাচ শেষে তাই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই তারকা। হয়তো তিনিও বুঝতে পেরেছিলেন, ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে আদৌ খেলা হবে কি না, সেটা এখন আরও বেশি সংশয়াচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছে!
রোনালদোরা নিজেদের আরও বেশি দুর্ভাগা ভাবতে পারেন এ কারণে, কোনোরকমে একটা ড্র হলেই বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নিতে পারত পর্তুগাল। ওদিকে সার্বিয়ার সরাসরি বিশ্বকাপে জেতে হলে ম্যাচটা জিততেই হতো। ম্যাচটা ছিলও পর্তুগালের মাঠে, পোর্তোর এস্তাদিও দা লুজে। সামান্য ড্রটাও কপালে জোটেনি পর্তুগালের, উল্টো যোগ করা সময়ে অ্যালেক্সান্ডার মিত্রোভিচের গোলে হৃদয় ভেঙেছে রোনালদো-জোতাদের।
তবে দ্বিতীয় হলেও যে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ একদম নেই সেটা নয়; সে ক্ষেত্রে রোনালদোদের খেলতে হবে প্লে-অফ। সেই প্লে-অফ বাধা পেরোতে পারলেই কেবল বিশ্বকাপের স্বাদ পাবেন রোনালদোরা। রোনালদোর জন্য আশার খবর, এ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে এর আগেও গিয়েছেন তাঁরা। ২০১৪ বিশ্বকাপে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের সুইডেনকে প্লে-অফে হারিয়েই বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছিলেন রোনালদোরা। দুই লেগটা যেন আক্ষরিক অর্থেই ছিল রোনালদো-ইব্রা মহারণ। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোলে পর্তুগাল জিতেছিল। পর্তুগালের ৪টা গোলই করেছিলেন রোনালদো, সুইডেনের ২ গোল করেছিলেন ইব্রা।
কিন্তু গত রাতে রোনালদোদের সে উদ্যম দেখা যায়নি মোটেও। ম্যাচের শুরুতে যদিও পর্তুগাল এগিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু ম্যাচ যত এগিয়েছে, ম্যাচের নাটাই সার্বিয়ার হাতে চলে গিয়েছে আস্তে আস্তে। দুই মিনিটে গোল করে পর্তুগালকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মিডফিল্ডার রেনাতো সানচেস।
অবশেষে ত্রাতা হয়ে আসেন দ্বিতীয়ার্ধে মিডফিল্ডার নেমানিয়া গুদেইর জায়গায় মাঠে নামা পোড়খাওয়া স্ট্রাইকার অ্যালেক্সান্ডার মিত্রোভিচ। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে তাদিচের সহায়তায় এই মিত্রোভিচের গোলেই নিশ্চিত হয়ে যায়, সরাসরি বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না রোনালদোদের। তবে পর্তুগাল একটু হলেও সান্ত্বনা পেতে পারে এই ভেবে যে প্লে-অফের যন্ত্রণায় শুধু তারাই পড়ছে না, আছে সুইডেন, ওয়েলস, স্কটল্যান্ডও। বাছাইপর্বে ইউরোপের ১০ গ্রুপের রানার্সআপের প্রত্যেককেই খেলতে হবে প্লে-অফ। এই ১০ দলের সঙ্গে যুক্ত হবে নেশনস লিগের দুই গ্রুপ বিজয়ী দল। এই দুই দল নির্বাচিত হবে নেশনস লিগের সার্বিক র্যাঙ্কিংয়ের ওপর, যারা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজ নিজ গ্রুপের শীর্ষ দুই দল হতে পারেনি। এই ১২ দলকে নিয়েই অনুষ্ঠিত হবে প্লে-অফ।
Discussion about this post