ব্যাটিং, বোলিংয়ের সাথে ছোট ফরম্যাটের এই ক্রিকেটে স্নায়ুর চাপ ধরে রাখা কঠিন। বাইশ গজের খেলায় এই ’জেন্টেলমেন গেম’ কতটা সৌন্দর্য্য ধরে রাখেতে পারে? সেটাই যেন দিনকে দিন প্রশ্নের মুখে পড়ছে । খেলা চলাকালীন ক্রিকেট মাঠের অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের দৃশ্য খেলোয়াড়দের জন্য ফান হলেও ক্রিকেট ভক্তদের কাছে নিশ্চয়ই উপভোগ্য কোন দৃশ্য নয়!
বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের প্রথম ইনিংসের ১৭ ওভারের পঞ্চম বল, পাক পেসার হাসান আলীর আউট সুইং বলে শট খেলতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন বাংলাদেশ ব্যাটার নুরুল হাসান। আউটের পর বোলার হাসান আলীর উদযাপন নয় বরং হাত দিয়ে ব্যাটারকে ক্রিজ ছাড়ার ইঙ্গিত করছেন বাজে ভাবেই। যেটা ক্রিকেটের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দৃষ্টিকটু।
এদিকে, প্রথম ম্যাচ হারের পর জরিমানা গুনতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে, স্লো ওভার রেটের কারণে টাইগার স্কোয়াডের ম্যাচ ফি’র বিশ শতাংশ নেয়া হয়েছে কেটে। টাইগার ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজের মতই নিজেদের বোলিং স্ট্যাটাসও স্লো হয়ে গিয়েছিলো, বেধে দেয়া সময়ের গড়ের সাথে তাল মিলিয়ে বোলিং হয়নি বাংলাদেশের।
দ্বিতীয় ম্যাচেও স্পোর্টম্যানশিপে ঘাটতি পাকিস্তানিদের। ব্যাটার পপিং ক্রিজের মধ্যে দাড়িয়ে, তবুও বল ছুড়ে আহত করার দৃশ্য দেখেছে সবাই। বাংলাদেশের ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বল, মোকাবেলা করে নিরাপদ অবস্থানেই ছিলেন আফিফ, সেটা দেখেও বল ছুড়লেন শাহীন আফ্রিদি। সেন্সিবল ক্রিকেট বা ’গেম অব জেন্টেলমেন’ কোনটাই যেন যায়না এমন দৃশ্যে গুলোর সাথে।
Discussion about this post