খেলাধূলা ডেস্ক
লিওনেল মেসি আর সার্জিও রামোস। লা লিগায় একসময় দুজন ছিলেন একে অপরের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী।একজন বার্সেলোনার হয়ে, আরেকজন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদে। মাঠে এমনকি একজন আরেকজনের সঙ্গে হাত মেলাতেও অস্বীকৃতি জানাতেন। কিন্তু সেসব দিন এখন অতীত। দুজন এখন সতীর্থ। আর সেই রামোসের পিএসজিতে অভিষেক ম্যাচ রাঙিয়ে দিলেন কিনা স্বয়ং মেসি!
আজ (রবিবার) ২০৭ দিন মাঠের বাইরে কাটিয়ে পিএসজির হয়ে অভিষেক হয়েছে সের্হিয়ো রামোসের। স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের স্মরণীয় ম্যাচে ঘরের মাঠে ৪৫ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় সেন্ত এতিয়েনে। শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুবিধা তাই তারা ধরে রাখতে পারেনি। প্রথমার্ধেই মারকিনুসের গোলে সমতায় ফেরা পিএসজি দ্বিতীয়ার্ধের শেষ ১১ মিনিটে জোড়া লক্ষ্যভেদে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ফিরেছে।
রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে পিএসজিতে যাওয়ার পর ইনজুরিতেই কেটেছে রামোসের দিন। অবশেষে ৪ মাস ২০ দিন পর আজ রোববার সাঁত এতিয়েনের বিপক্ষে লিগ ওয়ানে অভিষেক হলো স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের। আর এই ম্যাচে ৩-১ গোলে জয় পেল ফরাসি জায়ান্টরা। ম্যাচে কোনো গোল না পেলেও দলের ৩ গোলেই অবদান রাখলেন মেসি। অর্থাৎ অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করলেন এই মৌসুমেই বার্সা ছেড়ে প্যারিসে আসা এই ফরোয়ার্ড।
মেসির অ্যাসিস্টের সংখ্যা অবশ্য আরও বাড়তে পারতো। কারণ খেলার পঞ্চম মিনিতেই তার বাড়িয়ে দেওয়া বলেই লক্ষ্যভেদ করেন নেইমার জুনিয়র। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের গোলটি ভিএআর দেখে বাতিল করে দেন রেফারি। এরপর ২৩তম মিনিটে মিডফিল্ডার দেনিস বুয়াঙ্গার গোলে এগিয়ে যায় সাঁত এতিয়েন।
স্বাগতিকদের এগিয়ে যাওয়ার স্বস্তি অবশ্য দীর্ঘায়িত হয়নি। ৪৫তম মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন সাঁত সেতিয়েনের ডিফেন্ডার টিমোথি কোলোডজিজ্যাক। এরপর যোগ করা সময়ে মেসির দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে হেড করে কাছের পোস্টে বল জড়ান পিএসজি অধিনায়ক মার্কুইনোস।
১০ জনের সেঁত এতিয়েনকে দ্বিতীয়ার্ধে চেপে ধরে পিএসজি। ৭৯তম মিনিটে আসে কাঙ্ক্ষিত ফল। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে পেনাল্টি অঞ্চলে ফাঁকায় থাকা আনহেল দি মারিয়ার দিকে বল ঠেলে দেন মেসি। তার আর্জেন্টাইন সতীর্থ দারুণভাবে ফিনিশিং দিয়ে দলকে এগিয়ে দেন।
দারুণ ছন্দে থাকা পিএসজি বড় ধাক্কা খায় শেষ বাঁশি বাজার মিনিট দুয়েক আগে। প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডার পেছন থেকে পা বাড়িয়ে ফাউল করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নেইমার। কাতরাতে থাকা ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে মাঠেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়, কিন্তু তাতেও খেলার মতো অবস্থা না ফেরায় তুলে নেওয়া হয় তাকে। এর কিছুক্ষণ পর ফের মেসির বাড়িয়ে দেওয়া বলে ছয় গজ বক্সের ভেতর থেকে হেডে বল জড়িয়ে দেন মার্কুইনোস।
Discussion about this post