খেলাধূলা ডেস্ক
আজ মাঠে চলছে সাকিব আল হাসানের লড়াই-সংগ্রাম। এ লড়াই প্রিয় জাতীয় দলকে পাকিস্তানের কাছে ইনিংস পরাজয় থেকে বাঁচানোর। এ লড়াই হারা ম্যাচ ড্র করার লড়াই।
প্রথমে মুশফিক-লিটন, পরে মুশফিক-সাকিব এবং শেষ অংশে সাকিব-মিরাজ – তাদের লড়াই সংগ্রামের শেষ অংশটা একদমই সাকিবকেন্দ্রিক হয়ে থাকলো।
বরাবরের মতো মারমার কাটকাট ব্যাটিংয়ে সিদ্ধহস্ত তথা মেরে খেলতে অভ্যস্ত সাকিব আল হাসান আজ শেরেবাংলায় ছিলেন অন্য ভূমিকায়। আর মাঠের দক্ষিণ দিকের বেক্সিমকো করপোরেট বক্স এবং পরে প্রেসবক্সে বসে সাকিবের সেই প্রাণপণ লড়াই দেখলেন কলকাতার নামি চলচ্চিত্রকার সৃজিত মুখার্জি। সঙ্গে ছিলেন তার বাংলাদেশী স্ত্রী, অভিনেত্রী মিথিলা।
পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতার বাংলা চলচ্চিত্র এবং নাট্যাঙ্গনে প্রথম সারির পরিচালক। ছুটিতে এসেছেন বাংলাদেশে। এমনিতে ক্রিকেট পছন্দ করেন। তবে বাংলাদেশের কোনো মাঠে, গ্যালারিতে কিংবা প্রেসবক্সে বসে প্রথম খেলা দেখলেন তিনি।
ভাবছেন চলচ্চিত্রকারদের অনেকেই ক্রিকেটপ্রেমী। ক্রিকেট দেখতে ভালোবাসেন। বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের টেস্ট তাই বুঝি সেটা দেখতে চলে আসলেন সৃজিত!
সর্বাংশে না হলেও তার অনেকটাই সত্য। বেশ অনেক বছর আগে ভারত আর পাকিস্তান টেস্ট দেখেছিলেন ভারতের ব্যাঙ্গালুরু চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বসে। তাই আজ শেরেবাংলায় বাংলাদেশ-পাকিস্তানের টেস্ট দেখে ফিরে গেলেন অতীতে। একটা অন্যরকম পুলক অনুভব করলেন সৃজিত মুখার্জি।
ক্রিকেটকে সেলুলয়েডের ফিতেবন্দি করা আর ক্রিকেটারদের জীবনী নিয়ে ছবি বানানো তার অনেক পছন্দের। ভারতের নারী ক্রিকেটের অন্যতম তারকা মিতালী রাজকে নিয়ে তার বানানো ছবি ‘সাবাশ মিঠু’ প্রকাশ হচ্ছে শিগগির।
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসানের জীবনীও খুব পছন্দ তার। ’৭১-এর সেই উত্তাল দিনে পাকিস্তান দলের হয়েও রকিবুল হাসান যে ‘জয় বাংলা’ স্টিকার লাগানো ব্যাট নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন, তা খুব ভালো জানা সৃজিতের। রকিবুলের জীবনের ওপর স্ক্রিপ্ট খুঁজছেন তিনি। বাংলাদেশের পপ সম্রাট আজম খানকে নিয়েও কাজ করতে আগ্রহী ওপার বাংলার এই পরিচালক।
বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে ক্রিকেটের অপূর্ব সংযোগ খুঁজে পান সৃজিত। তাই সেগুলো মিলিয়ে কাজ করতে চান তিনি। সে কারণেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম নায়ক সাকিবকে পর্দার নায়কে রূপান্তরিত করার প্রবল ইচ্ছে সৃজিতের।
কেন সাকিবকেই বেছে নিয়েছেন তিনি? শেরেবাংলার প্রেসবক্সে বসে সৃজিতের সোজা সাপটা জবাব, ‘কেন নয় বলুন! সাকিব তো শুধু বাংলাদেশের নয়। বিশ্ব ক্রিকেট তথা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এক উজ্জ্বল তারকা। এক আন্তর্জাতিক চরিত্র। সবচেয়ে বড় কথা তার ব্যক্তি ও খেলোয়াড়ি জীবনটাও অন্য আট দশজনের মতো নয়। সাকিব এক অন্যরকম চরিত্র।’
‘সিনেমা তৈরি করতে গেলে প্রথাগত ক্যারেক্টার দিয়ে হয় না। প্রয়োজন পড়ে একটি ব্যতিক্রমি চরিত্রের। সাকিব হলেন তেমন এক ক্যারেক্টার।’
Discussion about this post