খেলাধূলা ডেস্ক
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে (বালক অনূর্ধ্ব-১৭) সিলেট এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে (বালিকা অনূর্ধ্ব-১৯) রংপুর বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
বালক বিভাগের ফাইনালে ট্রাইব্রেকারে ৩-১ গোলে রাজশাহী বিভাগকে হারিয়ে সিলেট বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বালকদের টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় সিলেট বিভাগের আসাদ উদ্দিন, সর্বোচ্চ গোলদাতা সিলেট বিভাগের অনিক দেব বর্মা ও রাজশাহী বিভাগের হাবিবুর রহমান।
বালিকা বিভাগের ফাইনালে ময়মনসিংহকে ১-০ গোলে হারিয়ে রংপুর বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। বালিকাদের টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় রংপুরের শাম্মি আকতার, সর্বোচ্চ গোলদাতা রংপুরের নাসরিন ও খুলনা বিভাগের সন্ধ্যা। চ্যাম্পিয়ন দল দুটি ৩ লাখ টাকা ও স্বর্ণপদক এবং রানারআপ ২ লাখ টাকা ও রৌপ্য পদক পেয়েছে।
সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার খেলোয়াড়দের যথাযথ প্রশিক্ষণের সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করবে। কারণ বাংলাদেশের বিশ্বমানের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সক্ষমতা রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রত্যেকটি বিভাগে একটি করে ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবো। বিকেএসপি প্রত্যেকটি বিভাগে আমরা করবো। ইতোমধ্যে আরো দুটির অনুমোদন দেওয়া হয়ে গেছে। বাকিগুলোও আমরা করে দেবো, যাতে করে সেখানে খেলাধুলার বিষয়ে আমাদের ছেলে-মেয়েরা ভালো প্রশিক্ষণ নিতে পারে সে ব্যবস্থাটা আমরা করে দিচ্ছি।’
সরকার ক্রীড়াবিদদের পাশে আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অসুস্থ ও অস্বচ্ছল ক্রীড়াসেবীদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনকে করোনার মধ্যেও ১০ কোটি টাকার সীডমানি প্রদান করেছি এবং অচিরেই ক্রীড়াসেবীদের কল্যাণে আরও ২০ কোটি টাকা প্রদান করা হবে। আমরা চাই ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবলসহ অন্যসব ক্রীড়াক্ষেত্রেও আমাদের ছেলেমেয়েরা ভালো করুক। অন্য ইভেন্টগুলোতেও বাংলাদেশ যাতে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে, সেজন্য আমাদের সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ক্রীড়া উন্নয়নে আমাদের সহযোগিতা চলমান থাকবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ আয়োজন ক্ষুদে ফুটবলারদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। আয়োজনটিতে করোনাকালীন সময়েও উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে সর্বমোট ১ লাখ ১০ হাজার ৫৫২ জন খেলোয়াড় অংশ নিয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, এ টুর্নামেন্টসমূহ থেকে প্রতিভাবান ৪০ জন বালক ও ৪০ জন বালিকা খেলোয়াড়দের নিয়ে বিকেএসপিতে ৩ মাসের নিবিড় প্রশিক্ষণ ক্যাম্প আয়োজন করা হবে এবং তাদের মধ্য হতে সেরা ১১ জন বালক খেলোয়াড়কে ব্রাজিলে এবং সেরা ১১ জন বালিকা খেলোয়াড়কে ইউরোপে ১ মাসের উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হবে। সরকার ইতোপূর্বেও এই টুর্নামেন্টের সেরা ৪ জন খেলোয়াড়কে ২০১৯ সালে ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী গামা ক্লাবে উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে এবং ৪২ জন খেলোয়াড়কে বিকেএসপিতে তিন মাস মেয়াদি উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে।’
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পকিত স্হায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post