খেলাধূলা ডেস্ক
নেপালের বিপক্ষে দাপট দেখালো বাংলাদেশ। মুহূর্মুহূ আক্রমণও হলো। কিন্তু গোলের দেখা মিলেনি। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আধিপত্য দেখিয়ে ম্যাচ ড্র করতে হয়েছে স্বাগতিকদের। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে নেপালের সঙ্গে ম্যাচটি শেষ হয়েছে গোলশূন্য ড্র দিয়ে।
রাজধানীর কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বল নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে থাকার পাশাপাশি আক্রমণও হয়েছে অনেক। ঋতুপর্ণা চাকমা-তহুরা খাতুন ও শামসুন্নাহার জুনিয়র ত্রয়ী বারবার প্রতিপক্ষের বক্সে হানা দিয়েও গোল পাননি। কোনওসময় নিজেদের ব্যর্থতায় আবার নেপালের গোলকিপার আনজানা রানা মাগারের দৃঢ়তায় লক্ষ্যভেদ করা যায়নি।
ম্যাচ শুরুর দ্বিতীয় মিনিটে গোল পেতে পারতো বাংলাদেশ। বক্সের একটু উপর থেকে আঁখি খাতুনের জোরালো শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এর ঠিক তিন মিনিট পর বিমলা বিকের ফ্রি কিক ক্লিয়ার করতে গিয়ে হেডে নিজেদের জালে জড়াতে বসেছিলেন শামসুন্নাহার জুনিয়র; ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে দলের ত্রাতা রুপনা চাকমা।
১৫ মিনিটে মারিয়া মান্দার ক্রসে বক্সের ভেতর থেকে শামসুন্নাহার জুনিয়রের ওভারহেড কিকে সরাসরি যায় গোলরক্ষকের কাছে। তিন মিনিট পর আঁখির লম্বা পাস নেপালের এক ডিফেন্ডার হেড করার পর পেয়ে যান শামসুন্নাহার জুনিয়র। আলতো টোকায় এগিয়ে নিতে গিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ হারান। শেষ পর্যন্ত তার দুর্বল শট ছুটে আসা গোলকিপারের গায়ে লেগে ফিরে।
২২ থেকে ৩২ মিনিটের মধ্যে আরও তিনবার আক্রমণ শানায় বাংলাদেশ। কিন্তু ঋতুপর্ণা চাকমার দুটি এবং শামসুন্নাহার জুনিয়রের শট খুঁজে পায়নি ঠিকানা।
বিরতির পরও স্বাগতিকদের দাপট চলতে থাকে। কিন্তু এই অর্ধেও গোল বঞ্চিত থাকতে হয়েছে গোলাম রব্বানী ছোটনের দলকে।
৫৪ মিনিটে গোল লাইন থেকে ক্লিয়ার করে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে দেয়নি নেপালের নেপালের ডিফেন্ডার বিমালা। মারিয়া মান্দার কর্নার থেকে তহুরা খাতুন হেড চলে যায় অরক্ষিত থাকা ঋতুপর্ণার কাছে, তার ডান পায়ের ভলি গোল লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন বিমালা।
শেষের দিকে আরও একটি সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয়। ৮৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মনিকা চাকমার জোরালো শট গোলকিপার এক হাত দিয়ে কোনমতে প্রতিহত করে দলের এক পয়েন্ট নিশ্চিত করেন। আগামী সোমবার বিকাল ৩ টায় ভুটানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে লড়বে বাংলাদেশ।
Discussion about this post