রিয়াসাদ আজিম
বিজয়ের ৫০ বছরেও শহীদ জুয়েল আর মোস্তাক যেনো বাংলার ক্রিকেটে বিস্মৃত অধ্যায়। দেশের জন্য আত্মত্যাগী ক্রিকেটার আর ক্রিকেট সংগঠক সম্পর্কে কতটা জানে ক্রিকেটপ্রেমীরা? জানার আর জানানোর চেষ্টায় রয়েছে বিশাল ঘাটতি, নেই কোনো যথাযথ উদ্যোগ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কমবেশি চেষ্টা চালিয়েছে জুয়েল-মোস্তাকদের অবদানকে তুলে ধরতে, এখন উদ্যোগ গ্রহণের জোর দাবি বিসিবির প্রতি।
ক্রিকেটে যাদের বাস…মাঠে গেলে চোখে পড়বে শহীদ জুয়েল আর মোস্তাক স্ট্যান্ড। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটের দুই প্রান্তের দুই সুবিশাল স্ট্যান্ড। করোনায় খেলা কমে গেছে, অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে নির্জীব গ্যালারি।
তা হতেই পারে। তবে প্রশ্নটা অন্য জায়গায়। মাঠে যারা আসেন, খেলা দেখেন; গ্যালারিটাকে পুরো বাংলাদেশের সুখ আর দু:খের প্রতীক বানিয়ে ফেলেন, কতটা জানেন তারা জুয়েল-মোস্তাক সম্পর্কে?
না আছে জানার, না আছে জানানোর চেষ্টা। মহান মুক্তিসংগ্রামে আত্মত্যাগী ক্রিকেটার আর ক্রিকেট সংগঠক জুয়েল-মোস্তাক তাই থেকেও নেই।
৭১-এ শহীদ দুই সূর্যসন্তান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে তাই বিস্মৃত অধ্যায়। টিম টাইগার্সের ৭১ নম্বর জার্সিটা তাদের উৎসর্গের দাবি বহুদিনের। ক্রিকেটার থেকে ক্রিকেট সংগঠক কিংবা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, এ নিয়ে সবার কাছে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জুনায়েদ পাইকার বললেন, জুয়েল-মোস্তাকরা যা করেছেন দেশের জন্য তা পৃথিবীর ইতিহাসে শুধু বিরল না, একমাত্র দৃষ্টান্ত। তবে তারপরও সব আয়োজন কোথায় যেনো থেমে থাকে। প্রীতি ম্যাচের আনুষ্ঠানিকতা থেকে বের হওয়াটা তাই বড্ড জরুরি।
দাবির সবই প্রাসঙ্গিক। জুয়েল-মোস্তাকদের রক্তের দামে যে বাংলাদেশটা কেনা- বিসিবির একটু উদ্যোগ ক্রিকেট আর স্বাধীনতার সাথে জড়িত দুই শহীদের আত্মত্যাগের বীরত্ব গাথা পৌঁছে দিতে পারে সব মহলে।
Discussion about this post