খেলাধূলা ডেস্ক
পেসারদের জন্য সব সময়ই সহায়ক নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন। সেখানে স্পিনারদের সাফল্য পাওয়া বেশ কঠিন। সাফল্য পেতে অন্তত সংগ্রাম করতে হয়। মেহেদী হাসান মিরাজকেও পরীক্ষা দিতে হয়েছে গতকাল। পুরোটা দিন বল করে গেলেও উইকেট পাননি।
তবে দ্বিতীয় দিন মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে কিউইদের ব্যাটিং অর্ডার ভেঙে দিতে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন এই অফস্পিনার। এমন সাফল্যের পেছনে ধৈর্য ধরে টানা বল করতে পারাকেই সামনে আনলেন তিনি।
রবিবার ৩২ ওভার বোলিং ৮৬ রান খরচায় তিনটি উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। তার ঘূর্ণি জাদুতে প্রথম সেশনে ৩২৮ রানে অলআউট হয়েছে স্বাগতিকরা। দিনের খেলা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেছেন, ‘এই কন্ডিশনে স্পিন বল করা কঠিন ছিল। আমি পুরোটা সময় ধৈর্য রাখতে চেয়েছি, ঠিক জায়গায় বল ফেলেছি। এটাই হচ্ছে বিষয়।’
মিরাজের পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডকে দ্রুত অলআউট করতে সবচেয়ে বড় অবদান শরিফুল ইসলামের। মূলত প্রথম দিন শরিফুলের বোলিংয়েই কিউইদের টপ অর্ডার ভেঙে পড়ে। মিরাজও সেটি মনে করিয়ে দিলেন, ‘আমাদের বোলাররা কাল (শনিবার) ও আজ (রবিবার) ভালো করেছে। বোলারদের মধ্যে শরিফুল মঞ্চ গড়ে দিয়েছে; ৩ উইকেট নিয়েছে। ওর উইকেটগুলো গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সবমিলিয়ে আমাদের স্পিনারদের পারফরম্যান্স ভালো ছিল, পেস বোলাররাও খুব ভালো করেছে।’
রবিবার ৫ উইকেট হাতে নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। এদিন মাত্র ৭০ রান যোগ করতেই অলআউট হয় তারা। নিউজিল্যান্ডকে ৩২৮ রান আটকে শুরুটাও দারুণ করে বাংলাদেশ। ১৮ ওভার পর্যন্ত কিউই বোলারদের কোনও সুযোগই দেয়নি। ১৯তম ওভারে সাদমান (২২) আউট হলে ভেঙেছে ৪৪ রানের ওপেনিং জুটি। তার পর দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদুল হাসান জয়ের সলিড ব্যাটিং গড়ে দেয় মূল প্রতিরোধ। দু’জনের ১০৪ রানের জুটি ছিল দিনের সবচেয়ে আলোচিত দিক।
শান্ত ৬৪ রানে ফিরলেও দিনশেষে ২ উইকেটে ১৭৫ রান নিয়ে দারুন অবস্থানে বাংলাদেশ দল। ম্যাচের পরিস্থিতি নিয়ে মিরাজ বলেছেন, ‘আমরা যখন প্রথমে শুরু করেছিলাম, ওদের ৫ উইকেট নেওয়া দরকার ছিল।ব্যাটসম্যানরাও খুব ভালো করছে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যেহেতু ওপর থেকে নিয়মিত কোনও জুটি হচ্ছিল না। তাই বিষয়টা আমাদের আত্মবিশ্বাস দেবে।’
Discussion about this post