খেলাধূলা ডেস্ক
দুর্দান্ত শুরুর পর আবার অস্বস্তি। উইকেট আসছিল না। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল উইল ইয়ং ও রস টেলর জুটি। এবাদত হোসেন শুধু এই জুটি ভাঙলেনই না, বাংলাদেশ আবার বসালেন চালকের আসনে। ৩ বলের মধ্যে ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন এই পেসার। এরই মধ্যে চার চারটি উইকেট তুলে নিয়েছেন এবাদত!
এবাদতের জোড়া আঘাতে এলোমেলো নিউজিল্যান্ড। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে কিউইদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৪২ রান। তাতে স্বাগতিকরা লিড পেয়েছে ১২ রানের।
লাঞ্চ ব্রেকের ২০ মিনিট আগে বাংলাদেশকে ৪৫৮ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর ব্যাট করতে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় সেশনে দুই ওপেনার আট ওভার পার করে দিয়েছিলেন। কিন্তু নবম ওভারে টম ল্যাথামের উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের শর্টার লেংথের বল ভেতরে ঢুকে পড়েছিল। ল্যাথাম ছেড়ে দিলেও পারতেন, কিন্তু ডিফেন্ড করতে গিয়ে ডেকে আনেন বিপদ। ইনসাইড এজ হয়ে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। তাতে টানা দুই ইনিংসে ব্যর্থ ল্যাথাম ফিরেছেন ১৪ রান করে।
ল্যাথামের বিদায়ের পর প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান কনওয়ে ও উইল ইয়াং। বেশি দূর যেতে পারেনি এই জুটি। গতির ঝড় তুলে কনওয়েকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন এবাদত। টানা নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়েরই পুরস্কার পেয়েছেন এই পেসার। কনওয়ের ব্যাট-প্যাড হয়ে বল জমা পড়েছিল সাদমানের হাতে। শুরুতে অনফিল্ড আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। পরে দেখা যায় বল ব্যাটে লেগেছিল কনওয়ের। ৪০ বল খেলা কনওয়ে ফেরেন ১৩ রান করে। পরের ওভারে মিরাজের ঘূর্ণিতে ইনসাইড এজ হয়েছিলেন ইয়াং। কিন্তু লিটন তা গ্লাভসে জমাতে পারেননি। এর পর শুরু হয় রিভিউ নষ্ট করার খেলা। চা পানের বিরতিতে যাওয়ার আগের ওভারে দ্বিতীয় রিভিউ নষ্ট করে বাংলাদেশ। এবাদতের বল রস টেলরের ব্যাটে লেগেছিল ভেবে রিভিউ নেন মুমিনুল। পরে দেখা বল ব্যাটেই লাগেনি।
আধিপত্য দেখিয়ে তৃতীয় দিন কাটানোর পর চতুর্থ দিনের শুরুটাও ভালো ছিল বাংলাদেশের। ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় নিউজিল্যান্ডের বোলারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে খেলেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও ইয়াসির রাব্বি। তাতে লিড ছাড়ায় শতরান। কিন্তু মিরাজ-ইয়াসির সাজঘরে ফিরলে ইনিংস গুটিয়ে যেতেও সময় লাগেনি। কিউইদের ৩২৮ রানের পর প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছে ৪৫৮ রান। লিড পেয়েছে ১৩০ রানের।
এবারের সফরে গিয়ে প্রথম টেস্টের তিন দিনেই বলতে গেলে বাংলাদেশ কর্তৃত্ব দেখিয়েছে। যে ব্যাটিং সবচেয়ে দুশ্চিন্তার জায়গা ছিল, মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে সেখানেই বাজিমাত করেছেন মুমিনুলরা।
Discussion about this post