খেলাধূলা ডেস্ক
স্প্যানিশ সুপার কাপের শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিয়েছে বার্সেলোনা এবং রিয়াল মাদ্রিদ।
আগের বছর অঘটনের শিকার হয়েছিল রিয়াল। এবারও তেমন কিছুরই শঙ্কা জেগেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। বুধবার (৫ জানুয়ারি) আলকাইয়ানোর বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা।
একই রাতে ৬ মিনিটের দুই গোলে এই পর্বে উঠেছে রিয়ালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাও। লিনারেস দেপোর্তিভোকে ২-১ গোলে হারিয়েছে তারা।
এর আগে টানা পনেরো ম্যাচে অপরাজিত থাকার পর নতুন বছরের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই রোববার (২ জানুয়ারি) গেটাফের বিপক্ষে লস ব্লাঙ্কোসরা হেরে যায় ১-০ ব্যবধানে।
করোনার থাবায় জেরবার রিয়াল মাদ্রিদ। তরুণ ভিনিসিয়াস জুনিয়র ছাড়াও এদিন একাদশের বাইরে ছিলেন দুই মিডফিল্ডার এডুয়ার্ডো কামাভিঙ্গা ও ফেডরিক ভালভার্দে। তবে করোনা জয় করে দলের সঙ্গে ছিলেন গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া, লুকা মদ্রিচসহ আরও বেশ কয়েকজন।
আক্রমণভাগের সেরা তারকাদের নিয়ে খেলতে নামা কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা যদিও ম্যাচের শুরু থেকেই স্বাগতিক গেটাফের ওপর বেশ চাপ বাড়িয়েছিলেন। তবে প্রথমার্ধেই এনেস উনালের গোলে এগিয়ে যায় গেটাফে। শেষ পর্যন্ত তার গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
যদিও এ ম্যাচে ভাগ্যও সহায় ছিল না লস ব্লাঙ্কোসদের। ম্যাচের ১৮তম মিনিটে লুকা মদ্রিচের গোলে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল। কিন্তু তার জোরালো শর্ট ক্রসবারে আটকে যায়। এরপর টনি ক্রুসও বেশ কয়েকটি সুযোগ মিস করেন।
এ ছাড়া সবশেষ ম্যাচে মায়োর্কাকে উড়িয়ে দিয়ে নতুন বছরে শুভ সূচনা করে বার্সেলোনা। প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার (২ জানুয়ারি) রাতে ১-০ গোলে জিতেছে জাভির শিষ্যরা। বড়দিনের বিরতির আগে সেভিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছিল কাতালান ক্লাবটি। করোনার জেরবার বার্সা শিবির। আর তাই ‘বি’ টিমের বেশ কয়েকজনকে নিয়ে দল সাজায় জাভি হার্নান্দেজ।
প্রতিপক্ষের মাঠে বল দখলে শুরু থেকেই দাপট ছিল সফরকারীদের। ম্যাচের দশম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু মায়োর্কার গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় সে যাত্রায় গোলবঞ্চিত হন বার্সার ১৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ইলিয়াস।
এরপর মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং-এর দুটি শর্ট ক্রসবারে আটকে যায়। তবে তৃতীয় দফায় সফল হন তিনি। তার দারুণ হেড অবশেষে প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পায়। আর ‘ডেডলক’ ভাঙে বার্সেলোনা।
Discussion about this post