খেলাধূলা ডেস্ক
দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে এলচের মুখ থেকে বিজয় ছিনিয়ে নিল রিয়াল মাদ্রিদ। গোলশূণ্য নির্ধারিত সময় শেষ করে অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই গোল হজম করে বসে ১০জনের রিয়াল মাদ্রিদ।
কিন্তু ইসকো অ্যালারকন ও এদেন হ্যাজার্ড জানিয়ে দিলেন ফুরিয়ে যাননি তারা। এই দুইজনের নৈপুণ্যে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
বৃহস্পতিবার রাতে এলচের মাঠে কোপা দেল রের শেষ ষোলোতে ২-১ ব্যবধানে জয়লাভ করে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ইউরোপের সবচেয়ে সফলতম ক্লাবটি।
পুরো ম্যাচ জুড়ে রক্ষণভাগ আগলে রাখা এলচের বিপক্ষে দারুণ কয়েকটি আক্রমণ করেও গোলের দেখা পায়নি বেনজেমা-কোর্তোয়া ছাড়া খেলতে নামা রিয়াল মাদ্রিদ। দশম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত স্বাগতিকরা। লুকাস পেরেসের শট ঝাপিয়ে ঠেকিয়ে এ যাত্রায় রিয়ালকে বাঁচান গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন। এরপর কয়েকটি আক্রমণ করে অবশ্য গোলের দেখা পায়নি রিয়াল। ৪২তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে দেওয়া মার্সেলোর পাস কজে লাগাতে পারেননি ভিনিসিয়াস।
দ্বিতীয়ার্ধেও গোল করতে মরিয়া রিয়াল মাদ্রিদকে ঠেকিয়ে দিচ্ছিল এলচের কঠিন রক্ষণভাগ। ৭২তম মিনিটে জোড়া পরিবর্তন আনেন কার্লো আনচেলত্তি। ফেদে ভালভেরদেকে তুলে লুকা মদ্রিচ ও কামাভিঙ্গার বদলে কাসেমিরোকে নামান তিনি। ৭৭তম মিনিটে বদলি হয়ে নামা কাসেমিরোর বুলেট গতির শট ঠেকিয়ে দেন এলচে গোলরক্ষক। নির্ধারিত সময় ফুরিয়ে গেলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
দীর্ঘদিন ধরে ইনজুরি ও বেঞ্চে বসে থাকা এদেন হ্যাজার্ড বদলি হয়ে নেমেই দেখান জ্বলক। ১১৫তম মিনিটে দারুণ গোল করে রিয়ালের জয় নিশ্চিত করেন। দাভিদ আলাবার পাস থেকে বাঁ দিকে বল টেনে নিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে ডি-বক্সের অনেকটা দূর থেকে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন বেলজিয়ান এই ফরোয়ার্ড।
গত আসরে শেষ বত্রিশে হোঁচট খাওয়ার পর এবার শিরোপা জয়ের মিশনে শেষ আটে কোয়ালিফাই করেছে কার্লো আনচেলত্তির অধীনে ছুটতে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ। এই প্রতিযোগীতায় ১৯ বারের চ্যাম্পিয়ন লস ব্লাঙ্কোসরা। সর্বোচ্চ ৩১ বারের চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা একই দিনে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের কাছে হেরে প্রতিযোগীতা থেকে বিদায় নিয়েছে।
Discussion about this post